ফাঁকা: বাসের দেখা নেই মেদিনীপুর বাসস্ট্যান্ডে। —নিজস্ব চিত্র।
দিনভর রাস্তায় দেখা নেই বাসের। কেউ বাচ্চাকে নিয়ে স্কুলে যাওয়ার পথে সমস্যায় পড়লেন, কেউ বা আবার অফিসে পৌঁছলেন দেরিতে। তৃণমূলের জনসভার জন্য বুধবার সকাল থেকেই পথে কম বাস ছিল। সমস্যার কথা মানছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতিও। তিনি বলেন, “দলের কর্মী- সমর্থকেরা বাস ভাড়া করে জনসভায় এসেছিলেন। তাই পথে বাস কম ছিল। কিছু মানুষ সমস্যায় পড়েছেন।” তাঁর দাবি, “জনসভার জন্য বাস পরিবহণ ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়েনি।”
বুধবার মেদিনীপুর শহরের কলেজ মাঠে তৃণমূলের জনসভা ছিল। জনসভায় ছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রচুর কর্মী-সমর্থক সভায় যোগদান করেন। প্রায় সকলেই ভাড়া বাসে করে আসেন। ডেবরা যাওয়ার জন্য এ দিন সকালে মেদিনীপুর বাসস্ট্যান্ডে বাস ধরতে গিয়েছিলেন সমরেশ দাস। তবে বাস পাননি। অগত্যা, মেদিনীপুর থেকে মোটরবাইকেই ডেবরায় যান তিনি। সমরেশের কথায়, “যোগাযোগের মূল মাধ্যম বাস। বাস না থাকলে সমস্যা তো হবেই। বাধ্য হয়েই মোটরবাইকে ডেবরা আসি।” যাত্রী দুর্ভোগের কথা মানছেন বাস মালিকেরা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক মৃগাঙ্ক মাইতির কথায়, “জনসভার জন্য বেশ কিছু বাস তুলে নেওয়া হয়। তাই এ দিন কম বাস চলেছে। বাস কম থাকায় যাত্রীরা সমস্যায় পড়েছেন।”
জেলার ওপর দিয়ে প্রতিদিন ৮০০ বাস চলাচল করে। জনসভার জন্য বেশির ভাগ বাসই তুলে নেওয়া হয়। দুর্ভোগের শুরু হয়েছিল অবশ্য মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই। ওই দিন থেকেই বিভিন্ন এলাকায় বাস যেতে শুরু করে। বুধবার সকাল থেকে অনেকে পথে বেরিয়ে বাস না পেয়ে অটো-ট্রেকারে করেই গন্তব্যে পৌঁছন। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিতবাবু বলেন, “বিকল্প যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে। প্রচুর অটো-ট্রেকার নেমেছে। তাই জেলায় পরিবহণ ব্যবস্থা অনেকটাই স্বাভাবিক ছিল।”
এ দিন সকাল থেকে মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায় যানজট সমস্যাও দেখা দেয়। শহরে অবশ্য বাস ঢুকতে দেওয়া হয়নি। যে সব বাসে করে কর্মী-সমর্থকেরা এসেছিলেন, সেই সব বাস শহরের বাইরে পার্কিং করা হয়। জনসভা শুরুর আগে ও শেষের পরে বিভিন্ন এলাকায় যানজট হয়। কর্মী-সমর্থকেরা মিছিল করেই সভাস্থলে আসেন। মিছিলের জেরে শহরের বিভিন্ন মোড় বেশ কিছু সময়ের জন্য অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। আটকে পড়েন পথচলতি মানুষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy