আক্রান্ত: কাউন্সিলর জগদম্বাপ্রসাদ গুপ্ত। নিজস্ব চিত্রআক্রান্ত: কাউন্সিলর জগদম্বাপ্রসাদ গুপ্ত। নিজস্ব চিত্র
জবরদখলকারীদের উচ্ছেদের বিজ্ঞপ্তি ঘিরে সংঘর্ষে জড়াল বিজেপি ও তৃণমূল কর্মীরা। সম্প্রতি খড়্গপুরের পোর্টারখোলি বস্তি এলাকায় উচ্ছেদের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে রেল। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ রেল আধিকারিক ও রেল সুরক্ষা বাহিনী (আরপিএফ) পোর্টারখোলি বস্তি এলাকা দেখতে গেলে বস্তির বাসিন্দাদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান শহরের তৃণমূল ও বিজেপি নেতারা। এরপরেই দু’পক্ষের বচসা শুরু হয়। যা সংঘর্ষের রূপ নেয়।
দু’পক্ষের সংঘর্ষে তৃণমূল কাউন্সিলর জগদম্বাপ্রসাদ গুপ্ত ও বিজেপি-র মধ্য মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক ডি তারকেশ্বর রাও জখম হন বলে অভিযোগ। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ফের দু’পক্ষ হাতাহাতিতে জড়ায়। পরে দু’পক্ষই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে।
মাস কয়েক আগেই কার্টিংখোলি, অম্বেডকর কলোনি-সহ রেলের বিভিন্ন এলাকায় বস্তি উচ্ছেদের অভিযান শুরু করেছেন রেল কর্তৃপক্ষ। এ দিন পোর্টারখোলিতে রেলের আধিকারিকেরা পৌঁছলেই উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনাস্থলে যান পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার। আসেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর জগদম্বাপ্রসাদবাবু। খবর পেয়ে পৌঁছে যান বিজেপির মধ্য মণ্ডলের সভাপতি পি সোমনাথন, সাধারণ সম্পাদক ডি তারকেশ্বর রাওরাও। বিধায়ক দিলীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় দু’পক্ষের বচসা বাধে। বচসা গড়ায় সংঘর্ষে।
বিজেপির মধ্য মণ্ডলের সভাপতি পি সোমনাথন বলেন, “পোর্টারখোলির রেলবস্তিতে উচ্ছেদের প্রতিবাদ জানিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে আমরা গিয়েছিলাম। তৃণমূল কাউন্সিলর নিজের জমি হারানোর আশঙ্কায় আমাদের ওপর চড়াও হয়।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘পুরপ্রধানের সামনে ইট দিয়ে আমাদের নেতা ডি তারকেশ্বর রাওয়ের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি।”
যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের শহর সভাপতি তথা পুরপ্রধান প্রদীপবাবু বলেন, “বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে তদানীন্তন রেলমন্ত্রী ও দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন রেল বস্তির দুর্দশা দূর করে রেলশহরের ভূগোল বদলে দেবেন। তার পরিবর্তে উল্টে এই শহরে একের পর রেলবস্তিতে উচ্ছেদ হচ্ছে।’’ তাঁর পাল্টা অভিযোগ, ‘‘পুজোর আগে যাতে রেলবস্তিতে উচ্ছেদ স্থগিত করা হয় সেই আর্জি জানাতে ঘটনাস্থলে রেল আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। সেই সময় বিজেপির সোমনাথন ও তারকেশ্বর এসে আমাদের কাউন্সিলরকে মারধর করে। স্থানীয় মানুষ প্রতিরোধ করেছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy