হাতি তাড়াতে দল বেঁধেছেন স্থানীয়রাই। নিজস্ব চিত্র।
দলমার দাঁতাল বাহিনীকে বাগে আনতে জঙ্গলের রাস্তায় ছুটছে বন দফতরের ঐরাবত গাড়ি। হাতির দাপট ঠেকাতে পাহারা দিচ্ছেন বনকর্মীরাও। এত কিছুর পরেও দাঁড়ি পড়েনি হাতির তাণ্ডবে। দিশাহারা বন দফতরও। বন দফতরের রূপনারায়ণ বিভাগের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা বলেন, ‘‘সবরকম চেষ্টা করেও আমরা ধামকুড়ার জঙ্গল থেকে হাতির পালকে বের করতে পারিনি। সন্ধ্যা হলেই হাতি লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। খেতে নেমে সব তছনছ করে দিচ্ছে। কী করব বুঝে উঠতে পারছি না।”
স্থানীয় ও বন দফতর সূত্রে খবর, সন্ধ্যা হলেই দলমার হাতির পাল তিন-চার ভাগে ভেঙে খেতে নেমে প়ড়ছে। আলু, শাক-সব্জি খেয়ে, পায়ে মাড়িয়ে নষ্ট করছে হাতি। ভাঙছে মাটির বাড়ি। টানা আট-দশ দিন তাণ্ডবে ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। রবিবার রাতেও দলমার হাতির পাল চন্দ্রকোনার অযোধ্যা, বনকাটা, কলোনি, শাখাবাই, ঘাটমুড়া, কেশেডাল, ধামকুড়া-সহ ২০-২২টি গ্রামে দাপিয়ে বেড়িয়েছে। ওই দলে ৪৫-৫০টি হাতি রয়েছে বলে বন দফতরের এক সূত্রে খবর। সোমবার পালটি ধামকুড়ার জঙ্গলে রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
বন দফতর সূত্রে খবর, দিন কয়েক ধরেই গড়বেতা ও চন্দ্রকোনা রোড়ের একাধিক গ্রামে তাণ্ডব চালাচ্ছে হাতি। সন্ধ্যা নামলেই স্থানীয় বাসিন্দারা পাহারায় বসছেন। চন্দ্রকোনার ধামকুড়ার জঙ্গল থেকে হাতির দলকে বের করে গড়বেতার আমলাগোড়া রেঞ্জের জঙ্গল হয়ে লালগড়ের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। যদিও জঙ্গল ঘেঁষা এলাকার বাসিন্দাদের বাধায় হাতির পালকে সরানো যায়নি বলে অভিযোগ। বন দফতরের রূপনারায়ণ বিভাগের ডিএফও রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, ‘‘রবিবার রাতেই হাতির পালকে ধামকুড়ার গভীর জঙ্গলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। আপাতত জঙ্গল থেকে যাতে হাতির দল বেরোতে না পারে, সে জন্য জঙ্গলটি ঘিরে রাখা হয়েছে। স্থানীয় মানুষকে সঙ্গে নিয়েই পাহারার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। হাতির দলটিকে গড়বেতা হয়ে লালগড়ের দিকে ঢুকিয়ে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy