উৎসাহ: ছাত্রীদের পাশে অধ্যক্ষা।নিজস্ব চিত্র
রক্তদানে অনেকেরই ভয় রয়েছে। বিশেষত মেয়েদের। মঙ্গলবার মেদিনীপুরের নরেন্দ্রলাল খান মহিলা কলেজে (গোপ কলেজ) অবশ্য অন্য ছবি। শিবিরে রক্ত দিতে সকাল সকাল কলেজে হাজির ঝর্না সাউ, স্বর্ণালী অধিকারী, পূজা দাসরা।
প্রথম বর্ষের ছাত্রী পূজার কথায়, “মিথ্যে বলব না। প্রথমে একটু ভয়ই লাগছিল। ভাবছিলাম দেব কিনা! রক্তদানের পরে ভয় কেটে গিয়েছে। পরের বছর আবার রক্ত দেবো!” প্রথম বর্ষের ছাত্রীর স্বর্ণালীর কথায়, “মাঝেমধ্যেই খবরের কাগজে পড়ি, হাসপাতালে রক্ত নেই। রক্তের জোগান সাবলীল রাখা তো আমাদের কর্তব্য। রক্ত দিয়ে ভাল লাগছে।’’
তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) পরিচালিত ছাত্রী সংসদের উদ্যোগে কলেজে এই প্রথম রক্তদান শিবির হল। এ দিন মোট ৪৮ জন ছাত্রী রক্ত দিয়েছেন। রক্তদানে ছাত্রীদের উত্সাহ দেখে খুশি গোপ কলেজের অধ্যক্ষা জয়শ্রী লাহা।
রক্তদান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত দীপঙ্কর মিত্র জানালেন, শহর-গ্রাম মিলিয়ে এ রাজ্যের রক্তদাতাদের মধ্যে মাত্র ১৪ শতাংশ মহিলা। সে দিক থেকে মেদিনীপুরের মতো জেলা শহরে মহিলা কলেজের এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয়। দীপঙ্করবাবুর কথায়, ‘‘মেয়েরা রক্তদানে এগিয়ে এলে পরিবারের অন্যরাও উদ্বুদ্ধ হবেন।’’
তবে মেয়েদের মধ্যে রক্তাল্পতার সমস্যা বেশি। তাই চিকিৎসদের পরামর্শ, রক্ত পরীক্ষা করে, শরীরের ওজন পরিমাপ করেই রক্তদান করা উচিত। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধকিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, “কেউ রক্ত দেওয়ার ইচ্ছেপ্রকাশ করলেই ব্লাড ব্যাঙ্কের কর্মীরা তাঁর রক্ত নেয় না। ইচ্ছুক রক্তদাতার শারীরিক পরীক্ষা হয়।’’ মেয়েদের ক্ষেত্রে হিমোগ্লোবিন কম থাকলে রক্ত নেওয়া হয় না বলেও জানান তিনি। এ দিন গোপ কলেজে শিবিরের আগে ছাত্রীদের শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার মাপকাঠি পেরোতে না পেরে অনেকে রক্ত দিতেও পারেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy