ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য এ বার স্কুল-কলেজেই মিলবে ফর্ম। ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারির মধ্যে যাদের বয়স ১৮ বছর হয়ে যাবে, তাদের সকলেরই নাম ভোটার তালিকায় তুলতে চাইছে প্রশাসন। নাম তোলার ফর্ম পেতে ভবিষ্যতের ভোটারদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সে জন্যই স্কুল-কলেজে ফর্ম পাঠানো হবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। এ ছাড়াও আগের মতো বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও)-দের কাছেও এই ফর্ম মিলবে।
জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা বলেন, “আশা করব, ভোটার তালিকায় নাম তোলার ক্ষেত্রে এ বারও উৎসাহ থাকবে। সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্র খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটা সকলকেই বুঝতে হবে।” জেলার ওসি (ইলেকশন) মনমোহন ভট্টাচার্য বলেন, “স্কুল-কলেজেও ফর্ম পৌঁছে দেওয়া হবে। ওই ফর্মপূরণ করে কাছের বুথে গিয়ে বিএলও-র কাছে জমা দেওয়া যাবে।”
মঙ্গলবার থেকেই শুরু হয়েছে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন। কর্মসূচি চলবে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। প্রতি বছর ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ হয়। শুরুতে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়। এরপর নতুন নাম তোলার আবেদন জমা পড়ে। খসড়া তালিকা নিয়ে কোনও অভিযোগ থাকলে তাও জমা পড়ে। পরে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে জানুয়ারিতে সংশোধিত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়।
মঙ্গলবার খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, পশ্চিম মেদিনীপুরে এখন ভোটার সংখ্যা ৩৫ লক্ষ ৩২ হাজার ৪৬৫। এরমধ্যে পুরুষ ১৮ লক্ষ ৪ হাজার ২। মহিলা ১৭ লক্ষ ২৮ হাজার ৪৩৮। অন্যান্য ২৫। অর্থাৎ, এখন জেলায় প্রতি ১ হাজার জন পুরুষ ভোটার পিছু মহিলা ভোটার রয়েছে ৯৫৮ জন। জেলায় বুথের সংখ্যা ৪ হাজার ২৫৫। প্রতি বুথে একজন করে বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও) রয়েছে। বিএলও-র সংখ্যা ৪ হাজার ২৫৫।
মেদিনীপুরে এক সর্বদল বৈঠকে এ দিন ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন কর্মসূচি সম্পর্কে সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের জানানো হয়। খসড়া ভোটার তালিকাও দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “তরুণ প্রজন্মের ভোটারদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে নানা কর্মসূচি হয়। এ বারও হবে।”
ভোটার তালিকায় কিছু ভুলভ্রান্তি থাকে। কিছু ক্ষেত্রে ছবিতে ভুল থাকে। জেলা প্রশাসনের ওই আধিকারিকের আশ্বাস, “আমাদের একটাই লক্ষ্য, পুরোমাত্রায় সঠিক নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরি করা। ত্রুটি নজরে এলেই সংশোধন করা হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy