নামেই জুনিয়র হাই স্কুল। না আছে নিজস্ব ভবন, না আছেন পর্যাপ্ত শিক্ষক। এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনেই চলে জুনিয়র হাইস্কুলের ক্লাস। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাই পড়ান।
বেলিয়াবেড়া ব্লকের বেলিয়াবেড়া চক্রের অধীন মুচিনালা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত দু’বছর ধরে এমন আজব জুনিয়র হাইস্কুল চলছে। প্রতিবাদে বুধবার ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনির্দিষ্ট কালের জন্য তালা ঝুলিয়ে দিলেন ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা।
অভিভাবকরা জানিয়েছেন, অবিলম্বে শিক্ষক নিয়োগ, বিদ্যালয় ভবন তৈরির কাজ শুরু না হলে অনির্দিষ্ট কাল বিদ্যালয়ে তালা ঝোলানো থাকবে। ২০১১ সালে মুচিনালা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাঁওতালি মাধ্যম চালু হয়। এই বিদ্যালয়ে দু’জন বাংলা এক জন সাঁওতালি মাধ্যমের শিক্ষক এবং এক জন অস্থায়ী শিক্ষক রয়েছেন। বর্তমানে মুচিনালা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়া সংখ্যা ৩৬। আর জুনিয়র হাইস্কুলে পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্রেণিতে ছাত্র রয়েছে ১৬ জন। মূলত শিক্ষকের অভাব আর ভবন না থাকার কারণে ক্রমশই পড়ুয়ার সংখ্যা কমে যাচ্ছে বলে অভিযোগ।
এই নিয়ে এলাকায় ক্ষোভ বেড়েই চলেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। মুচিনালা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিচার ইনচার্জ ভরত হেমব্রম বলেন, সমস্যার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
বেলিয়াবেড়া প্রাথমিক চক্রের ভারপ্রাপ্ত অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক মানস কুমার দে এ বিষয়ে বলেন, ‘‘যতদিন না এসএসসি-র মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে ততদিন স্নাতক ডিগ্রি আছে, এমন পার্শ্ব শিক্ষকদের ওই জুনিয়র হাইস্কুলে পাঠানোর জন্য জেলা সর্বশিক্ষা দফতরকে জানিয়েছি। জুনিয়র হাইস্কুলের ভবন নির্মাণের জন্য জমি নির্ধারণও করা হয়েছে।’’ তাঁর দাবি সর্বশিক্ষা দফতর থেকে টাকা এলেই বিদ্যালয় ভবনের কাজ শুরু হবে। অভিভাবকদের ক্ষোভে তালা ঝুলেছে স্কুলে। সে তালা খোলার জন্য অালোচনায় বসবেন বলেও কথা দিয়েছেন মানসবাবু।
সপ্তাহ শুরু। প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন সপ্তাহ উদ্যাপন করা হল বালিসাইতে। বুধবার রামনগর-২ ব্লক পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন দফতরের উদ্যোগে ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন শতাধিক প্রাণিপালক ও
মৎস্য চাষি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy