ঠা ঠা রোদে দাঁড়িয়ে ঘাটাল শহরের পাঁশকুড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় টোটো খুঁজছিলেন সত্তর ছুঁই ছুঁই কার্তিক মাঝি। গন্তব্য শহরেরই অরবিন্দপল্লি। খানিক পরে টোটো পেলেন কুশপাতার বাসিন্দা কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী কার্তিকবাবু। কিন্তু টোটো চালক বললেন, “এতদিন টোটো চালাচ্ছি, কই অরবিন্দপল্লি বলে কোনও এলাকার নাম তো শুনিনি।”
পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল শহরে যে হারে নতুন নতুন বসতি এলাকা গজিয়ে উঠছে, কোনও নিয়ম ছাড়াই তার নামকরণ হয়ে যাচ্ছে, তাতে ঠিকানা খুঁজতে বেগ পাচ্ছেন অনেকেই। চিঠি পৌঁছতে হয়রান হতে হচ্ছে পিওনদেরও। ঘাটাল ডাকঘরের পোস্টমাস্টার পঙ্কজ মণ্ডলের কথায়, “ডাকঘরের নথিতে এই সব পল্লির উল্লেখ নেই। অথচ, ওই সব পল্লির ঠিকানায় বহু চিঠি আসে।” ঘাটাল শহরের এক ক্যুরিয়ার সংস্থার কর্মী অভয় হাজরার মতে, “পুরসভার উচিত পল্লিগুলোর দিক নির্দেশের ব্যবস্থা করা।”
পুর এলাকায় নতুন কোনও মহল্লার নামকরণের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। এ জন্য বাসিন্দাদের আগে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কমিটির কাছে লিখিত আবেদন করতে হয়। সরকারি ওয়ার্ড কমিটির বৈঠকে আলোচনার পরে পুরসভায় আবেদন করতে হয়। পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে এলাকার নামকরণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। তারপর পুরসভাকেই লিখিত ভাবে ডাকঘর-সহ সংশ্লিষ্ট সব সরকারি দফতরে বিষয়টি জানিয়ে দিতে
হয় এবং এলাকাটির পরিচিতির
জন্য নাম লেখা সাইন বোর্ড লাগিয়ে দিতে হয়।
গত কয়েক বছরে ঘাটালে গড়ে ওঠা বহু পল্লির নামকরণের ক্ষেত্রে কোনও নিয়মই মানা হয়নি। তাতেই বাড়ছে ভোগান্তি। সমস্যা মানছেন ঘাটালের পুরপ্রধান বিভাস ঘোষও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy