অসম্পূর্ণ: রাস্তা নেই। চালু হয়নি লোয়াদা সেতু। নিজস্ব চিত্র
জমি জটে কোথাও সেতু তৈরি হয়নি, কোথাও আটকে সেতুর সংযোগকারী রাস্তার কাজ। সমস্যা সমাধানে শুক্রবার মেদিনীপুরে বৈঠকে বসলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের কর্তারা। কালেক্টরেটের এই বৈঠকে হাজির ছিলেন জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা, জেলা পরিষদের সচিব প্রবীর ঘোষ, জেলার পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল গিরি প্রমুখ। বৈঠকে সমস্যা ধরে ধরে আলোচনা হয়। সমাধানের পথও খোঁজা হয়। বৈঠক শেষে জেলার পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল গিরি বলেন, “কিছু সমস্যা রয়েছে। আশা করি, শীঘ্রই সমাধান হবে।”
এ দিনের বৈঠকে কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে। যেমন, ডেবরার লোয়াদা সেতুর জট কাটাতে একটি মৌজায় জমি কেনার দিন ঠিক হয়েছে ৫ জুন। এখানে সেতু তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে। সংযোগকারী রাস্তা হয়নি। ফলে, সেতুও চালু হয়নি। লোয়াদার সমস্যা মেটাতে ৭৮ ডেসিমেল জমি প্রয়োজন। ৫৬ ডেসিমেল জমি কেনা হয়েছে। বাকি ২২ ডেসিমেল ওই দিন কেনা হবে। সবংয়ের কাঁটাখালি সেতুর জন্য জমি কেনা শুরু হবে। এ নিয়ে আগামী সপ্তাহে মোহাড়ে বৈঠক হবে। দাসপুর-১ ব্লকের কলমীজোড় সেতুর জমি কেনা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
জেলায় জমি জটে বড় কোনও প্রকল্পের কাজ আটকে নেই। বরং একের পর এক প্রকল্পের জমি মসৃণ ভাবেই কেনা হয়েছে। প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, গত এক- দেড় বছরে জেলায় অন্তত ৯টি প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। কোথাও এতটুকু সমস্যা হয়নি। জমিদাতাদের বুঝিয়েই এগিয়েছে কাজ। মাস কয়েক আগেই গড়বেতার মাইতায় সেতু চালু হয়েছে। শিলাবতী নদীর উপর এই সেতু এলাকার ভোল বদলে দিয়েছে। আগে আলু, ধান, সব্জি বেচতে সমস্যায় পড়তেন এলাকার চাষিরা। নড়বড়ে কাঠের সাঁকো দিয়ে যাতায়াতে সমস্যা হত। বর্ষায় আবার সাঁকো ভেঙে পড়ত। ঘুরপথে পৌঁছতে হত বাজারে। দেরি হয়ে যাওয়ায় দাম পেতেন না চাষিরা। সেতু হওয়ায় সেই সমস্যা মিটেছে। জেলার এক প্রশাসনিক কর্তা বলছিলেন, “মানুষকে যদি ঠিকভাবে বোঝানো যায়, তাহলে কোনও কাজ এগোতেই আর সমস্যা হয় না। কোথাও মানুষের ক্ষোভ থাকলে তা শুনতে হবে। ক্ষোভের কারণ বুঝে তা নিরসনের চেষ্টা করতে হবে।”
সেই পথেই ডেবরা, সবংয়ে থমকে থাকা সেতুর কাজ শেষ করতে তৎপর হয়েছে জেলা প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy