পরামর্শ: এলাকা পরিদর্শনে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। নিজস্ব চিত্র
জাপানি এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত হয়ে সপ্তাহ খানেক আগে মৃত্যু হয়েছে সৌরভ ধাড়া নামে ঘাটালের এক বালকের। আর সেই ঘটনার পর এ বার মশা নিধনে উদ্যোগী হল ঘাটাল পুরসভা ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
শনিবার ঘাটাল পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে একটি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। পুর-কর্তৃপক্ষকে শহরের নিকাশি নালা সংস্কারের আর্জি জানিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচার শুরুর নির্দেশও দেওয়া হয়। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, “আগামী মাসের গোড়া থেকে পুরসভার পক্ষ থেকে প্রচার শুরু করতে বলা হয়েছে। নিয়ম করে মশানাশক তেল স্প্রে এবং ব্লিচিং পাউডার ছড়ানোর আর্জিও জানানো হয়েছে। কাজ ঠিকমতো হচ্ছে কি না, তা দেখার জন্য নজরদারি চালানো হবে। তবে এলাকার বাসিন্দাদেরও এ বিষয়ে আরও সচেতন হতে হবে।’’
মশাবাহিত অসুখের বাড়বাড়ন্ত রুখতে চলতি বছরের গোড়ায় খোদ নবান্ন থেকে লিখিত নির্দেশ পাঠানো হয়েছিল বিভিন্ন পুরসভায়। কিন্তু অধিকাংশ এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ ছিল, নির্দেশই সার। পুরসভাগুলি মশা মারতে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। মাঝে মধ্যে মশানাশক তেল স্প্রে করেই দায় সারছে অধিকাংশ পুরসভা। নিয়ম করে নালা সংস্কার না হওয়ায় বেড়েছে মশার দাপট। জাপানি এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত হয়ে ঘাটালের সৌরভ ধাড়া নামে ওই বালকের মৃত্যুর পর নড়ে বসে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর।
শনিবার ঘাটালের সিংহপুরে সৌরভ ধাড়ার বাড়ি যান মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা। তারপর সহকারী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান, ঘাটাল হাসপাতালের সুপার কুণাল মুখোপাধ্যায়-সহ স্বাস্থ্য দফতরের একটি দল পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে প্রশিক্ষণ দেন। রবীন্দ্রনাথ প্রধানের কথায়, ‘‘বাসিন্দারা কোথাও নোংরা জল দেখলে পুরসভায় জানাতে পারেন। পুরসভাকে তিনদিনের মধ্যে সেই নোংরা পরিষ্কার করতে হবে।’’ ঘাটাল পুরসভার চেয়ারম্যান বিভাস ঘোষ বলেন, “এ বার নিয়ম করে শহরের অলিগলিতে তেল এবং ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো হবে। প্রতি ওয়ার্ডে দু’জন করে বাড়ি বাড়ি ঘুরবেন।”
পুরসভার এই মশা-নিধন যজ্ঞ কতটা সফল হয়, সেটা সময়ই বলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy