Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
পুরভোটে হলদিয়া: প্রচারের শেষ রাউন্ডেও এগিয়ে তৃণমূল

নিরপেক্ষ প্রশাসন দাবি বিরোধীদের

ভোটের দিন ঘোষণা এবং প্রাথী নির্বাচনের পরেই পুরোদস্তুর প্রচারে নেমে পড়েছিল তৃণমূল। সেই তুলনায় বাম ও বিজেপিকে রাস্তায় দেখা যায়নি।

শেষ-প্রচারে: শুক্রবার হলদিয়ায় শুভেন্দু অধিকারী। নিজস্ব চিত্র

শেষ-প্রচারে: শুক্রবার হলদিয়ায় শুভেন্দু অধিকারী। নিজস্ব চিত্র

আরিফ ইকবাল খান
হলদিয়া শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৭ ০২:২০
Share: Save:

প্রথম থেকেই ছিল। পুর ভোটের আগে শুক্রবার শেষ দিনের প্রচারের ময়দানেও কার্যত একাই দাপিয়ে বেড়াল তৃণমূল।

ভোটের দিন ঘোষণা এবং প্রাথী নির্বাচনের পরেই পুরোদস্তুর প্রচারে নেমে পড়েছিল তৃণমূল। সেই তুলনায় বাম ও বিজেপিকে রাস্তায় দেখা যায়নি। প্রচারের শেষ লগ্নে সিপিএমের প্রচারে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান সূর্যকান্ত মিশ্র ও হলদিয়ায় ভোটের দায়িত্বে থাকা রবীন দেব এসে সভা করলেও তা তেমন জুৎসই হয়নি বলে দলেরই একাংশের মত। প্রায় একই অবস্থা দেখা গিয়েছে বিজেপিরও। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ প্রচারে এলেও তা ভোটের প্রচারে তেমন সাড়া ফেলেনি বলে তৃণমূলের দাবি। যদিও সিপিএম নেতৃত্বের তরফে দাবি করা হয়েছে, প্রশাসন অনুমতি না দেওয়াতেই তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় মিছিল, সভা করতে পারেনি। তবে তাঁদের প্রাথীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরেছেন প্রচারে।

সিপিএমের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি বলেন, ‘‘হলদিয়া পুরসভার ভোট নিয়ে আমরা আশাবাদী। প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকলে আমরা ভাল ফল করবো।’’ এদিন বিজেপির রাজ্য নেতা বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী ও অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায় হলদিয়ায় এলেও কোথাও প্রচারে যাননি। জয় অভিযোগ করেন, ‘‘আমাদের প্রশাসন সভা-মিছিল করার অনুমতি দেয়নি। আমরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে এ বিষয়ে নালিশ জানাব।’’

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের লোকসভা উপনির্বাচনে পুর এলাকায় তৃণমূলের প্রার্থী দিব্যেন্দু অধিকারী ৭০ হাজার ভোট বিরোধীদের চেয়ে বেশি পেয়েছিলেন। পুর এলাকার ২৬টি ওয়ার্ডের ১৫১টি বুথেই এগিয়েছিল তৃণমূল। লোকসভার উপনির্বাচনকে পাখির চোখ করেই গুটি সাজিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ইতিমধ্যে সিপিএমের একাধিক নেতা ও কর্মী চলে গিয়েছেন তৃণমূলে। যার পুরস্কার হিসাবে দলছুট একাধিক বাম কাউন্সিলর এ বার তৃণমূলে টিকিট পেয়েছেন। আর সেটাই বামেদের পুরভোটে অনেকটা পিছিয়ে দিয়েছে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। প্রতিপক্ষ কংগ্রেসও ভোটের ময়দানে থাকলেও সিপিএম এবং বিজেপিকেই মূল প্রতিপক্ষ বলে মনে করছে তৃণমূল। কয়েকটি জায়গায় ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতাও হচ্ছে।

তবে এ সব সত্ত্বেও এ বার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে। যেমন ১ নম্বর ওয়ার্ড। এখানে তৃণমূলের স্বপন দাশের সঙ্গে লড়াই সিপিএমের সমীরবরণ দাশের। ২ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী সর্বাণী মাজি ও বিজেপির সংখ্যালঘু মুখ নাহিদা সুলতানার (স্বপ্না) মধ্যে জোর লড়াইয়ের সম্ভাবনা। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা অপেক্ষায় মামা-ভাগ্নীর লড়াই দেখতে। এই ওয়ার্ডে সিপিএমের তাপসী মণ্ডলের লড়াই তৃণমূল প্রার্থী তথা তাঁর মামা প্রশান্ত দাশের সঙ্গে।

বিরোধীদের অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। দলের জেলা সভাধিপতি মধুরিমা মণ্ডল বলেন, ‘‘ভোটে হার নিশ্চিত জেনেই সিপিএম, বিজেপি এমন যুক্তি দেখাচ্ছে। এর কোনও সারবত্তা নেই। মানুষের আশীর্বাদে আমরা ২৯টি ওয়ার্ডেই জিতব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE