জিজ্ঞাসা: ‘সেভ ডেমোক্র্যাসি’র সদস্যরা ভাদুতলায়। নিজস্ব চিত্র
দুর্ঘটনায় দুই পড়ুয়ার মৃত্যুর পরে দু’দিন পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও থমথমে ভাদুতলা। পুলিশের ধরপাকড়ও চলছে। বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনার পরে পুলিশকে মারধরের ঘটনায় আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে এদের গ্রেফতার করা হয়। শনিবার দুপুরে ধৃতদের মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করা হলে চারজনের ৬ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ হয়। বাকি একজনের ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে। এর ফলে, পুলিশকে মারধরে ধৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৮জন। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ধরপাকড় চলবে।
দুর্ঘটনায় জখম পাঁচজন এখনও কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তারা সকলেই ভাদুতলা হাইস্কুলের পড়ুয়া। শনিবার স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষিকা কলকাতায় গিয়ে জখম পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করেন। গিয়েছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিতেশ চৌধুরীও। অমিতেশবাবু বলেন, “ওরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক, সকলে এখন এটাই চাই।” পাঁচজনের মধ্যে চারজন এসএসকেএমে ভর্তি। রনি বেরা নামে এক পড়ুয়ার চিকিৎসা চলছে কলকাতার অন্য এক হাসপাতালে। এসএসকেএমে চিকিৎসাধীনদের মধ্যে লক্ষ্মী মুর্মু এবং বিকাশ হেমব্রনের সঙ্কট এখনও কাটেনি। দু’জনই আইসিইউ-তে ভর্তি রয়েছে। মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি পড়ুয়াদের অবস্থার উন্নতি হয়েছে।
শনিবার ভাদুতলায় এসেছিল ‘সেভ ডেমোক্র্যাসি’-র প্রতিনিধি দল। দলে ছিলেন ফোরামের রাজ্য সম্পাদক চঞ্চল চক্রবর্তী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অপু ঘোষ। ছিলেন ফোরামের মেদিনীপুর শাখার অন্যতম কর্তা সুধীন্দ্রনাথ বাগও। তাঁরা এ দিন ভাদুতলা, বাড়ুয়া, ডাঙরপাড়া প্রভৃতি এলাকায় গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। দুর্ঘটনায় মৃত স্কুল পড়ুয়া সন্দীপ অধিকারীর বাড়িতে গিয়ে পরিজনেদের সঙ্গে দেখাও করেন চঞ্চলবাবুরা। পরে চঞ্চলবাবু বলেন, “পুলিশকে মারধরের ঘটনা নিন্দনীয়। কিন্তু ঘটনার পরে পুলিশ যে ভাবে অত্যাচার শুরু করেছে তাও সমর্থনযোগ্য নয়। তল্লাশির নামে পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে অত্যাচার করছে। পরিজনেদের ভয় দেখাচ্ছে।” পুলিশের এই ‘বাড়াবাড়ি’ বন্ধ করার দাবি জানায় ফোরাম। চঞ্চলবাবু বলেন, “কেন পুলিশের ওপর মানুষ ক্ষুব্ধ তা খতিয়ে দেখা উচিত। সেই কারণ অনুসন্ধান করা উচিত।” যাদের ধরে থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তাদের সঙ্গে বাড়ির লোকেদের দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ ‘সেভ ডেমোক্র্যাসি’র।
গত বৃহস্পতিবার ভাদুতলার পথ দুর্ঘটনায় দুই স্কুল পড়ুয়ার মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থলে এসে উত্তেজিত জনতার রোষের মুখে পড়ে পুলিশ। প্রহৃত হন শালবনি থানার আইসি বিশ্বজিৎ সাহা-সহ কয়েকজন পুলিশ কর্মী। মারধরে জড়িতদের খোঁজে ওই দিন রাত থেকেই ভাদুতলা, কুতুড়িয়া, ডাঙরপাড়া, বাড়ুয়া প্রভৃতি এলাকায় তল্লাশি শুরু হয়। পুলিশ অবশ্য জুলুমের অভিযোগ মানেনি।
প্রহৃত বিশ্বজিৎবাবু মেদিনীপুরের এক নার্সিং হোমে চিকিৎসাধীন। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy