খুচরো: সমস্যার মূলে।
বধূ নির্যাতনের মামলা চলছে আদালতে। স্ত্রী ও মেয়ের ভরণপোষণের জন্য দিতে হবে চল্লিশ হাজার টাকা। তার মধ্যে ১৫ হাজার টাকা নিয়ে আদালতে এসেছিলেন কোলাঘাটের বাসিন্দা সৈকত রক্ষিত। কিন্তু কাগুজে নোটে পাঁচ হাজার টাকা আনলেও বাকি ১০ হাজার টাকা সৈকতবাবু এনেছিলেন ১০, ৫ ও ২ টাকার কয়েনে। তাতেই বিপত্তি। আদালতে আইনজীবী মারফত সেই টাকা নিতে অস্বীকার করেন সৈকতবাবুর স্ত্রী। ওই টাকা আদালতে জমা দিতেও পারেননি সৈকতবাবু।
তমলুক আদালতে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের (দ্বিতীয়) এজলাসে এ দিন শুনানির সময় সৈকতবাবু জানান, স্ত্রী ও মেয়ের ভরণপোষণ বাবদ তিনি নগদ যে ১৫ হাজার টাকা দিতে চান তার মধ্যে ১০ হাজার টাকা ১০, ৫ ও ২ টাকার মুদ্রায় রয়েছে। তারপরই ওই বিপুল পরিমাণ খুচরো টাকা নিতে অস্বীকার করেন তাঁর স্ত্রীয়েরর আইনজীবী অনুপ মাইতি। অনুপবাবুর দাবি, ‘‘সৈকতবাবু এর আগেও একবার আমার মক্কেলকে ভরণপোষণ বাবদ খুচরো কয়েনে তিন হাজার টাকা দিয়েছিলেন। সে বার ওই খুচরো নিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছিলেন আমার মক্কেল। এ বারও একই ভাবে হয়রান করার চেষ্টা চালাচ্ছেন সৈকতবাবু।’’
আবার, সৈকতবাবুর আইনজীবী সাবির আলির বক্তব্য, ‘‘কয়েনগুলি তো অচল নয়। তবু ওই টাকা নিতে অস্বীকার করছেন!’’ পেশায় ব্যবসায়ী সৈকতবাবুর কথায়, ‘‘আমি সামান্য বৈদ্যুতীন সামগ্রীর দোকান চালাই। ছোট ব্যবসা। সেখানে ক্রেতারা খুচরো টাকা দেন। সেই টাকাই আমার ভরসা। কিন্তু এমন যে হবে তা ভাবিনি।’’
এ দিন আদালত কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি। তবে এমন ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও এমন সমস্যা দেখেছে অন্য জেলার মানুষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy