সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
মেদিনীপুরের জল নিয়ে এ বার খোদ মন্ত্রীর কাছেই নালিশ করলেন বিধায়ক। শনিবার ওয়াটার এটিএমের উদ্বোধন করতে গোপ কলেজে এসেছিলেন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ছিলেন বিধায়ক মৃগেন মাইতি, প্রদ্যোত ঘোষ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর সামনেই বিধায়ক প্রদ্যোত ঘোষ বলেন, “মেদিনীপুরের জল ভাল নয়। তুলনায় ঝাড়গ্রামের জল ভাল।” বিধায়কের বক্তব্যে সামান্য অস্বস্তিতে পড়েন মন্ত্রী। পরে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “এখানকার মাটি তলার জল অতটা খারাপ নয়, ৬টি জেলার চেয়ে ভাল। এখানে আর্সেনিক নেই। তবে অন্য কিছু অসুবিধে থাকতে পারে। আমি দেখছি।” সুব্রতবাবুর আশ্বাস, “এটুকু বলতে পারি, মেদিনীপুরের জলে বড় রকমের ক্ষতিকারক কিছু নেই।”
দিন কয়েক ধরেই মেদিনীপুরের একাংশে নোংরা জল সরবরাহ হচ্ছে বলে অভিযোগ। কর্নেলগোলা, লালদিঘি, রামকৃষ্ণনগর, ধর্মা প্রভৃতি এলাকায় এই সমস্যা রয়েছে। অপরিস্রুত জল সরবরাহে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে এলাকায়। সমস্যা মানছেন মেদিনীপুরের পুর-পারিষদ (জল) মৌ রায়ও। তাঁর বক্তব্য, খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে এলাকায় গিয়েছিলাম। পাইপ লাইনে কোনও ত্রুটি থাকতে পারে। শুক্রবার থেকেই মাটি খুঁড়ে পাইপ লাইন মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে।
মেদিনীপুর শহরে পানীয় জলের সমস্যা আগেও দেখা দিয়েছে। শহরে যে পানীয় জল সরবরাহ হয়, তাতে মাত্রারিক্ত আয়রন রয়েছে। শহরের একটি স্কুলের সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছিল। শহরবাসীর বক্তব্য, পুরসভা যে জল সরবরাহ করে সেই জল সম্পূর্ণ জীবাণুমুক্ত হওয়া উচিত। অথচ, শহরে দেদার আয়রন মিশ্রিত নোংরা জল সরবরাহ হচ্ছে। চিকিত্সকেরা জানাচ্ছেন, জলে আয়রন বেশি থাকলে চর্মরোগ-সহ নানা সমস্যা হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে মেদিনীপুরের জল সমস্যা মন্ত্রীকে জানান প্রদ্যোতবাবু। এ দিন সুব্রতবাবুও বলেন, “৭০ ভাগ ছোটখাটো অসুখ জল থেকে হয়। মাঝেমধ্যেই আমরা পরীক্ষা করি জলে ব্যাকটেরিয়া আছে কি না। এটা সর্বত্র করা উচিত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy