Advertisement
০৫ মে ২০২৪
তমলুক

অগ্নিদগ্ধ শিক্ষিকার মৃত্যু, ধৃত স্বামী

অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক বধূর। শুক্রবার ভোর ৫টা নাগাদ তমলুক থানার কামারবাড় গ্রামে অগ্নিদগ্ধ হন শ্রাবণী মাইতি (২৯)। তিনি স্থানীয় জ্যোতভিরাম চৌধুরী শিক্ষা নিকেতন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
তমলুক শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:৩৩
Share: Save:

অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক বধূর। শুক্রবার ভোর ৫টা নাগাদ তমলুক থানার কামারবাড় গ্রামে অগ্নিদগ্ধ হন শ্রাবণী মাইতি (২৯)। তিনি স্থানীয় জ্যোতভিরাম চৌধুরী শিক্ষা নিকেতন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা। তমলুক জেলা হাসপাতাল থেকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। বাপের বাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে শ্রাবণীর স্বামী দেবাশিস মাইতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, দেবাশিস-শ্রাবণীর বিয়ে হয়েছিল ২০১১ সালে। শ্রাবণীর মা উমা মাইতি জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য। বাবা হরেকৃষ্ণ মাইতি স্থানীয় প়ঞ্চায়েত সদস্য। ২০১৪ সালে শিক্ষিকার চাকরি পান শ্রাবণী, ২০১৫ সালে জন্ম হয়েছে তাঁর একমাত্র মেয়ের। দেবাশিস একটি বেসকারি অর্থলগ্নি সংস্থার এজেন্ট।

এ দিন বিকেল পর্যন্ত জেরায় দেবাশিস জানিয়েছেন, এ দিন ভোরবেলা তিনি মেয়েকে নিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন। শ্রাবণী রান্নাঘরে গিয়েছিলেন স্নানের জল গরম করতে। সে সময় এক প্রতিবেশীর চিৎকারে ছুটে গিয়ে তিনি দেখেন স্ত্রীর শাড়ি ও চাদরে আগুন ধরে গিয়েছে। দেবাশিসের দাবি, কাঁথা জড়িয়ে আগুন নিভিয়ে তিনিই উদ্ধার করেন স্ত্রীকে। কিন্তু ততক্ষণে অনেকটাই পুড়ে গিয়েছেন শ্রাবণী।

তাঁর দাদা গোপাল মাইতি বলেন, ‘‘গত কয়েকদিন বোন আর ভাগ্নি আমাদের বাড়িতেই ছিল। আধার কার্ডের ছবি তোলার জন্য মঙ্গলবার শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিল। এ দিন সকালে জামাই ফোন করে জানায় বোন পুড়ে গিয়েছে। এমন হবে ভাবতে পারিনি।’’ রাতে শ্রাবণীর বাবা অভিযোগ করেন, ভালবেসে বিয়ে করলেও ৫০হাজার টাকা পণ দাবি করেছিলেন দেবাশিস। তা নিয়ে অশান্তিও ছিল মেয়ের সংসারে। হরেকৃষ্ণবাবু জামাইয়ের বিরুদ্ধে মেয়েকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ দায়ের করেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Teacher
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE