Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

তৃণমূলের দ্বন্দ্বে সবংয়ে অশান্তি

তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল। তার জেরে ভেস্তে গেল দলীয় সভাও। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে সবংয়ের বিষ্ণুপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৭ ০২:২৫
Share: Save:

তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল। তার জেরে ভেস্তে গেল দলীয় সভাও। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে সবংয়ের বিষ্ণুপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।

এ দিন বিষ্ণুপুরে সভার আয়োজন করেছিল যুব তৃণমূল। আর এ দিনই ওই এলাকায় মিছিলের ডাক দিয়েছিল তৃণমূলের অন্য এক গোষ্ঠী। তা নিয়েই দুপুরে যুব তৃণমূলের নতুন কর্মীদের সঙ্গে একাংশ পুরনো তৃণমূল কর্মীর গোলমাল বাধে। ওঠে বাড়ি ভাঙচুর, বোমাবাজির অভিযো। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পরে যুব তৃণমূলের প্রস্তাবিত সভা স্থগিত করা হয়।

সবংয়ের বিধায়ক মানস ভুঁইয়া-সহ একঝাঁক কংগ্রেস নেতা-কর্মী তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরই ব্লক জুড়ে দলের নতুন ও পুরনো কর্মীদের বিরোধ চরমে পৌঁছেছে। বেশ কয়েকবার পুরনো-নতুন কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ায় বিড়ম্বনায় বেড়েছে তৃণমূল জেলা নেতৃত্বের। সবংয়ে বারবার সভা করে ঐক্যের বার্তা দিয়েছেন জেলা নেতারা। তারপরেও দুই গোষ্ঠীর অশান্তি চলছে। মাসখানেক আগে মানস অনুগামী নেতা আবু কালাম বক্সকে যুব তৃণমূলের ব্লক সভাপতি করার পরে অশান্তি বেড়েছে।

সম্প্রতি সবংয়ের প্রতিটি অঞ্চলে যুব তৃণমূলের পরিচালনায় সভা ডেকেছিলেন মানসবাবু। ইতিমধ্যেই কয়েকটি অঞ্চলে সভা হয়েছে। এ দিন বিষ্ণুপুর অঞ্চলে সভা ছিল। দিন কয়েক আগে ওই অঞ্চলে যুব তৃণমূলের আহ্বায়কের দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা সুভাষ করণকে সভা পরিচালনার দায়িত্ব দেন আবু কালাম বক্স। সেই মতো এ দিন প্রস্তুতি চলছিল। অন্য দিকে সুভাষ বিরোধী বলে পরিচিত বিষ্ণুপুর পঞ্চায়েতের প্রধান গুরুপদ মান্নার নেতৃত্বে মিছিলের প্রস্তুতিও চলছিল। তা নিয়ে দু’পক্ষের বচসা থেকে গোলমাল বাধে। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ তুলেছে। গুরুপদ বলেন, “আমাদের মিছিল ভেস্তে দিতে সুভাষ করণের নেতৃত্বে সিপিএম-কংগ্রেস থেকে আসা বহিরাগতরা আমার উপরে চড়াও হয়েছিল। বোমাবাজি হয়েছে। আমাদের কর্মী প্রদীপ মাইতির দোকান ভাঙচুর হয়েছে। আমি আমাদের নেতা অমূল্য মাইতিকে সব জানিয়েছি।” যুব তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আবু কালাম বক্সের পাল্টা অভিযোগ, “আমাদের সভার আগে গুরুপদ মান্নার নেতৃত্বেই সশস্ত্র বাহিনী এলাকায় অশান্তি ছড়িয়েছে। স্বপন দাস অধিকারীর বাড়ি ভাঙচুর করেছে। জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছি।”

তৃণমূল নেতা তথা জেলা কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতি বলেন, “বিষ্ণুপুরের ঘটনা প্রাথমিকভাবে বিষয়টি মানসপন্থী ও মমতাপন্থী তৃণমূল কর্মীদের বিরোধের জের বলে মনে হচ্ছে।” আর তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতির বক্তব্য, “নিজেদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে বলে শুনেছি। তবে বাড়ি ভাঙচুর বা বোমাবাজি হয়নি। দরকারে দু’পক্ষকে ডেকে আলোচনা করব।”

সবংয়ের বিধায়ক মানসবাবুর বক্তব্য, “যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরি ও ব্লক সভাপতি আবুকালাম বক্সের নেতৃত্বে যুব তৃণমূল সবংয়ে প্রসারিত হচ্ছে। কিন্তু তৃণমূলের কিছু নেতা কয়েকটি অঞ্চলে যুব তৃণমূলকে প্রসারিত হতে দিচ্ছেন না। তাই এ সব ঘটছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Group Clash
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE