ফের বধূ মৃত্যু। আবারও সেই কন্যা সন্তান হওয়ার অপরাধ। অন্তত তেমনই অভিযোগ মৃতার বাপের বাড়ির তরফে। জানা গিয়েছে, জুনপুট উপকূল থানার কাজিচক গ্রামের বাসিন্দা সোমা জানার (২১) মৃত্যু হয় সোমবার বিকেলে।
তাঁর আট মাসের মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে স্বামী খোকন জানা-সহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন। মঙ্গলবার জুনপুট উপকূল থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন সোমার দাদা সঞ্জয় খামারি।
সঞ্জয়বাবুর অভিযোগ, ‘‘মাছের ভেড়ি খুলতে চায় বলে গত শুক্রবার বোনকে বাপের বাড়ি পাঠিয়েছিল জামাই। দু’ লক্ষ টাকা দাবি করেছিল। বোন কাঁদতে কাঁদতে ফিরেছিল।’’ পরের দিন শ্বশুরবাড়ির লোকেদের সঙ্গে কথা বলে বোনকে সেখানে রেখে আসেন সঞ্জয়বাবু।
তাঁর দাবি, সোমবার বিকেলে অচেনা নম্বর থেকে ফোন করে কেউ জানান, সোমা অসুস্থ, কাঁথি হাসপাতালে ভর্তি। হাসপাতালে গেলে তাঁরা বোনের মৃতদেহ দেখেন। সোমার মুখে, কানে ছিল জমাট বাধা রক্তের দাগ।
বছর দুই আগে কাজিচকের খোকনের সঙ্গে সম্বন্ধ করে বিয়ে হয় স্থানীয় বাঘাপুতের বাসিন্দা সোমার। তখন নগদ তিন লক্ষ ও গয়না-সহ মোট ন’লক্ষ টাকা খরচ করেছিলেন সঞ্জয়বাবুরা। কিন্তু মেয়ে হওয়ার পর থেকেই সোমার উপর শারীরিকও মানসিক অত্যাচার শুরু হয়। দাবি করা হয় অতিরিক্ত পণ।
মাস তিনেক আগে জামাইকে ৮২ হাজার টাকার মোটর বাইক কিনে দিয়েছেন বলে দাবি সঞ্জয়বাবুর।
কিন্তু তারপরও কমেনি অশান্তি। পুলিশ প্রাথমিক ভাবে তদন্ত শুরু করেছে। ঠিক কী ভাবে মৃত্যু হয়েছে সোমার তা জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে পদক্ষেপ করবে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy