হালখাতা: হলদিয়ার একটি সোনার দোকানে ভিড়। ছবি: আরিফ ইকবাল খান
নতুন বছরের প্রথম দিন পুর এলাকায় চুটিয়ে জনসংযোগ সারলেন হলদিয়া পুরসভার কাউন্সিলরদের। রবিবার দিনভর কেউ ঘুরলেন নিজের ওয়ার্ডে। পুরবাসীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় সারলেন। আবার কেউ থানায় গিয়ে পুলিশকর্মীদের মিষ্টি বিতরণ করলেন। কেউ কেউ আবার ছুটির মেজাজে পরিবারের সঙ্গে গোটা দিনটা কাটালেন।
বন্দর ও শিল্প শহর হিসেবে পরিচিত হলদিয়া মানেই ব্যস্ততা। আর সেই ব্যস্ততার মাঝে বাংলা নববর্ষে নিজেদের আলাদা ভাবে তুলে ধরলেন তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার পুরপারিষদ এবং কাউন্সিলররা। এদিন সকাল থেকেই বেরিয়ে পড়েছিলেন ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা পুরপারিষদ আজিজুল রহমান। ট্রান্সপোর্টারদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করলেন। তাঁর কথায়, ‘‘সর্বদা রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত থাকি। বছরের প্রথম দিন সকলের সঙ্গে কাটাতে পেরে ভাল লাগল।’’ সকাল থেকে ১ নম্বর ওয়ার্ডে দলীয় দফতরে বসেছিলেন স্থানীয় ক্লাউন্সিলর তথা আরেক পুরপারিষদ সত্যব্রত দাস। দুপুর পর্যন্ত সেখানে যাঁরা সেকানে এলেন, তাঁদের সকলকে মিষ্টি খাওয়ালেন সত্যবাবু। বললেন, ‘‘সারা বছর ধরে জনসংযোগ রেখে চলি। বাংলা বছরের প্রথম দিন একটু আলাদাই।’’ ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজগর আলিকেও দিনভর দেখা গিয়েছে জমসংযোগে, শুভেচ্ছা বিনিময়ে। বাড়ি বাড়ি ঘুরে কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি দলের কর্মীদের ভাল-মন্দ খোঁজখবর নেন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা পুরপারিষদ স্বপন নস্কর। ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ দিন দুগার্চক থানায় পুলিশকর্মীদের মিষ্টিমুখও করান তিনি।
বাকি কাউন্সিলরাও সারাদিন এলাকার পুজোপার্বণে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি ওয়ার্ডে ঘুরে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেও, অনেকে আবার থেকে গেলেন আড়ালেই। এ দিন পরিবারের সঙ্গে নববর্ষ পালনে শহরের বাইরে আছেনপুরসভার চেয়ারম্যান শ্যামল আদক। আর ভাইস চেয়ারম্যান সুধাংশু মণ্ডলের কথায়, ‘‘বিশেষ কিছু নয়। সারা বছরের মত এই দিনটাও কাটালাম।’’
তবে এদিন লাভ হয়েছে পুরবাসীদেরই। কাউন্সিলরদের বছরের শুরুতেই হাতের কাছে পেয়ে নিজেদের সমস্যার কথাও তুলে ধরেন অনেকে। সমাধানের আশ্বাস পেয়ে খুশি তাঁরাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy