জখম নিশিকান্ত পাত্র।
হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ভোটে মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন বাড়ানোর বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার দিনই শনিবার তৃণমূল বিজেপির সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়াল পটাশপুরে। তৃণমূলের অভিযোগ বিজেপির লোকেরা পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালিয়েছে তাদের কর্মীদের উপর। পাল্টা তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে বিজেপিও। দু’পক্ষেরই কয়েকজন জখম হয়েছেন। তাঁদের পটাশপুর ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পরে কয়েকজনকে এগরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
দুই দলই পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
স্থানীয় তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে তারা পটাশপুর-১ ব্লকের নৈপুর ৭ নম্বর পঞ্চায়েতের চকগোপাল গ্রামে দলীয় প্রচার করছিলেন। সেই সময় ওই বুথের বিজেপি প্রার্থী দুলাল পাত্র এবং তার ছেলে তুষার পাত্র সহ বেশ কয়েকজন লাঠি, বাঁশ, লোহার রড নিয়ে তাদের উপরে চড়াও হয়। তাতে আহত হয় তৃণমূল কর্মী নিশিকান্ত পাত্র এবং তাপস মণ্ডল সহ দুজন তৃণমূল কর্মী। আহত নিশিকান্ত পাত্র বলেন, ‘‘আমরা তৃণমূলের পতাকা নিয়ে ভোট প্রচার ক্রছিলাম। সেই সময় বিজেপির লোকেরা এসে বলে কেন তৃণমূলের হয়ে প্রচার করছি। এর পরেই লাঠি, লোহার রড নিয়ে আমাদের উপর চড়াও হয়। আমায় মাথায় ফাটিয়ে দেয়।’’
বিজেপি অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কাঁথি বিজেপির যুব মোর্চার সম্পাদক শম্ভু চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘বিজেপির লোকেরা যখন পাড়ায় মিটিং সেরে বাড়ি ফিরছিলেন, সেই সময় তৃণমূলের লোকজন আমাদের কর্মী এবং প্রার্থীর উপর লাঠি, ধারালো আস্ত্র নিয়ে চড়াও হয়। তাতে আমাদের ৬ জন কর্মী আহত হয়েছেন।’’ তাঁর অভিযোগ, আহত কর্মীদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেয়নি তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। সারা রাত তাদের গ্রাম ঘিরে রেখেছিল। রবিবার সকালে তাদের পটাশপুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
তৃণমূলের পটাশপুর-১ ব্লক সভাপতি তাপস মাজি বলেন, ‘‘সিপিএমের হার্মাদরা এখন বিজেপির সঙ্গে মিশে আমাদের কর্মীদের উপর আক্রমণ চালাচ্ছে। চকগোপাল এলাকায় গণ্ডগোলের সম্ভাবনার কথা পুলিশকে আগাম জানানো হয়েছিল। তারা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা থানায় অভিযোগ করেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy