বুধবার সেলিম আলি, রোশন আলি (ডানদিকে)। নিজস্ব চিত্র
পুনর্নির্বাচনের দিনই দলবদল করলেন কোলাঘাট ব্লকের দক্ষিণ সাগরবাড়ের কংগ্রেসের প্রার্থী রোশন আলি। যোগ দিলেন তৃণমূলে। যে ঘটনায় কার্যত ‘হতবম্ভ’ স্থানীয় ভোটদাতারা।
দীর্ঘদিনের কংগ্রেস ঘরানার রাজনীতি পরিত্যাগ করে বুধবার সকালে মেচেদায় একটি তৃণমূলের পার্টি অফিসে দলত্যাগ করেন রোশন আলি। এ দিন তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন মেচেদার তৃণমূল নেতা সেলিম আলি। হঠাৎ দল পরিবর্তন সম্পর্কে রোশন আলি বলেন, ‘‘পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর উন্নয়নে সামিল হতে চাই। এলাকার উন্নয়নের স্বার্থেই আমি দলত্যাগ করেছি।’’ তবে এই পুনর্নির্বাচনের দিনই কেন দল পরিবর্তন? এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা সেলিম আলি বলেন, ‘‘উনি অনেক আগেই আমাদের দলে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। তবে ভোটের চাপে আমাদেরই যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। আজ সুযোগ মিলল, তাই উনি দলে যোগ দিলেন।’’
এ দিকে, কংগ্রেসের শক্ত ‘ঘাঁটি’ বলে পরিচিত সাগরবাড়ে কংগ্রেস নেতার হঠাৎ ওই দলবদলে ‘ক্ষুন্ন’ স্থানীয় নেতৃত্ব। এ দিন ভোট দিত গিয়ে বিভ্রান্তও হয়েছেন ভোট দাতারা। এক স্থানীয় বাসিন্দার কথায়, ‘‘কাকে ভোট দেব, তা বুঝতে পারছিলাম না।’’ দলীয় সূ্ত্রের খবর, ১৫৫ নম্বর ওই বুথে এ দিন তুলনামূলক ভোটপর্ব কম হয়েছে।
দল পরিবর্তন প্রসঙ্গে সাগরবাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুরজিৎ মাইতি বলেন, ‘‘রোশন কোথায় গেলেন, তা আমাদের কিছু এসে যায় না। সব কিছু আজকের ভোটের ফলাফলের উপর ভাবনা চিন্তা করা যাবে। মানুষ আমাদের পাশেই রয়েছেন। পঞ্চায়েত কংগ্রেসের দখলেই থাকবে বলেই আমাদের আশা।’’
এ দিন কোলাঘাট ব্লকের মোট চারটি বুথে পুনর্নির্বাচন ছিল। তবে দিনের শেষে দেখা গিয়েছে মোটের উপর শান্তিতেই মিটেছে ভোট প্রক্রিয়া। কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল চারটি বুথেই। সাগরবাড় গ্রাম পঞ্চায়েত ছাড়াও ভোগপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি বুথে এবং বৃন্দাবনচক গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি সকাল থেকেই ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং র্যাফ। যা কার্যত সাহস জুগিয়েছে ভোটারদের মনে। সকালে থেকে কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি হলেও তা উপেক্ষা করেই লাইন দেয় দ্বিতীয়বার ভোট দিয়েছেন তাঁরা। এ দিন বিরোধীরাও কোনও অভিযোগ করেনি। এ প্রসঙ্গে কোলাঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মানব সামন্ত বলেন, ‘‘এ দিনের পুনর্নির্বাচন শান্তিতেই হয়েছে। কোনও অশান্তির অভিযোগ কেউ করেনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy