প্রথম: আধার কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন। নিজস্ব চিত্র
আধার নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে শুরু হল নবজাতকের নথিভুক্তি। জেলা প্রশাসনের দাবি, নবান্ন থেকে নির্দেশিকা জারির সাত দিনের মধ্যে জেলায় এই ব্যবস্থা চালু করা হল। এবং গোটা প্রক্রিয়াটি রাজ্যে ঝাড়গ্রামেই প্রথম এই পরিষেবা চালু হল।
বুধবার সকালে হাসপাতালের পুরনো ভবনে এই আধার কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন ঝাড়গ্রামের অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) টি বালসুব্রহ্মণ্যম। ছিলেন ঝাড়গ্রাম জেলা ও সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের সুপার মলয় আদক, হাসপাতালের দুই শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ পুলকরঞ্জন মাহাতো ও সুদীপ রায়। কেন্দ্রটি চালু হওয়ার পরে এ দিন আধার কার্ডের জন্য ১৪ জন সদ্যোজাতের নাম নথিভুক্ত করা হয়।
আধার কেন্দ্রটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘সিএসসি ই-গর্ভন্যান্স’ নামে একটি সংস্থা।
ওই সংস্থার সঞ্চালক অশোককুমার বেরা জানালেন, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই পরিষেবা মিলবে। সরকারি হাসপাতালের বাইরেও যে সব শিশু ভূমিষ্ঠ হচ্ছে, উপযুক্ত নথিপত্র জমা দিলে এখান থেকে তাদেরও আধার কার্ড করানো যাবে।
হাসপাতালের সুপার মলয় আদক জানালেন, এই কেন্দ্রে সদ্যোজাত থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের আধার কার্ডের জন্য নাম নথিভুক্ত করা যাবে। এ জন্য সদ্যোজাত শিশুর জন্মের শংসাপত্র এবং বাবা অথবা মায়ের আধার কার্ডের প্রতিলিপি এবং মোবাইল ফোন নম্বর প্রয়োজন। এই পরিষেবা চালু হওয়ায় হাসপাতালে প্রসব হওয়া সমস্ত সদ্যোজাতের সচিত্র আধার কার্ড হবে। তথ্য জমা দেওয়ার কিছুদিন পরে অভিভাবকদের ঠিকানায় শিশুর আধার কার্ড পৌঁছে যাবে। তবে শিশুর বয়স পাঁচ বছর হওয়ার পরে নিকটবর্তী আধার কেন্দ্রে গিয়ে বায়োমেট্রিক তথ্য আপডেট করাতে হবে। তবে ওই আধার কার্ডে বায়োমেট্রিক তথ্য (চোখের মণির স্ক্যান ও আঙুলের ছাপ) থাকবে না। শিশুর বয়স পাঁচ বছর হলে তা আপডেট করিয়ে নিতে হবে।
মলয়বাবু বলেন, “গত ১৬ নভেম্বর নবান্ন থেকে সরকারি নির্দেশিকা জারি হয়েছে। মাত্র সাতদিনের মধ্যে আমরা হাসপাতালে এই পরিষেবা চালু করতে পারলাম।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy