হাত-কলমে: ম্যাপের সঙ্গে মিলিয়ে দেখছেন একে সিংহ। দুর্বাচটি খালের সেতুতে। নিজস্ব চিত্র
কয়েক দশকের টানাপড়েন কি কাটতে চলছে!
ঘাটালের বাসিন্দারা আপাতত তারই আশায়। শুক্রবার গঙ্গা ফ্লাড কন্ট্রোল কমিশনের প্রতিনিধিরা ঘাটাল পরিদর্শনে আসায়, সেই আশার পারদ চড়েছে এক ধাপ।
যদিও ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ কবে শুরু হবে? প্রশ্ন শুনে একগাল হেসে কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ কুমার সিংহের বলেন, “আমরা প্রযুক্তিগত বিষয়টি দেখি।” তবে সেচ দফতরের এক কর্তা ইঙ্গিত দিয়েছেন ভাল কিছু হবেই।
এ দিন সকাল থেকেই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন একজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র (পশ্চিমাঞ্চল) শুভময় সরকার, নিবার্হী বাস্তুকার অর্পণ পাল, ঘাটাল মহকুমা সেচ আধিকারিক উত্তম হাজরা-সহ পদস্থ আধিকারিকরা।
শুক্রবার সকাল ১১টায় গঙ্গা ফ্লাড কন্ট্রোল কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণকুমার সিংহের নেতৃত্বে তিন সদস্যের দলটি প্রথমেই যায় দাসপুরের খুকুড়দহে। সেখানে দুর্বাচটি খাল ও বাঁধের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় খালটি পুরোপুরি মজে গিয়েছে। ফলে জল সামান্য বাড়লেই উপচে যায় পাশের গ্রাম। কতগুলি গ্রাম জলমগ্ন হয় তা বিস্তারিত জানতে চান কমিশনের কর্তা। পরে কমিশনের সদস্যরা পলাশপাল খাল, গৌরায় চন্দ্রেশ্বর খালও ঘুরে দেখেন। কাঁসাইয়ের পলি তুলে কোথায় ফেলার ব্যবস্থা হয়েছে তা নিয়েও আলোচনা করেন সেচ দফতরের আধিকারিদের সঙ্গে। ঘণ্টা দেড়েক পর দাসপুর ছাড়েন তাঁরা। তারপর ঘাটাল ঢোকার আগেই শিলাবতী নদীর বাঁধগুলিতে নজরদারি চালান।
বিকেলে ঘাটাল ছাড়ার আগে কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ কুমার সিংহ সাংবাদিকদের বলেন, “ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্যই দু’দিনের সফর। দুই মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকা, খাল, নদী, জমি সবই ঘুরে দেখেছি। কেন্দ্রীয় জল সম্পদ উন্নয়ন দফতরে রিপোর্ট জমা দেব।”
এমন ভাবে অবশ্য রিপোর্ট জমা পড়েছে বছর দু’য়েক আগেও। মিলেছিল ছাড়পত্রও। কিন্তু টাকা বরাদ্দ নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের আকচাআকচিতে প্রকল্পটি বিশবাঁও চলে যায়। তাই এ বারও ভাবছেন ঘাটালবাসী— ‘শেষ পর্যন্ত কাজটা হলে হয়’!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy