বিপর্যস্ত: দুমড়ে গিয়েছে পুলিশের গাড়িটি। নিজস্ব চিত্র
দু’টি লরির রেষারেষিতে জখম এক মহিলা ছিটকে পড়েছিলেন জাতীয় সড়কের উপর। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা মারল পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ের পাইলট কার। জখম হলেন চালক-সহ ছয় পুলিশ কর্মী। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর থানার কাণ্ডপসরা এলাকায় দিঘা-নন্দকুমার ১১৬ বি জাতীয় সড়কের ঘটনা। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন মন্ত্রী। পাইলট কারের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে তাঁর গাড়ির চালক জাতীয় সড়কের পাশে গাড়ি নামিয়ে দেন। জখম মহিলা-সহ ছয় পুলিশ কর্মীকে তমলুক জেলা হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন শুভেন্দু।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে কাঁথিতে সমবায় সপ্তাহ উদ্যাপনের অনুষ্ঠান থেকে শুভেন্দুবাবু কলকাতার দিকে যাচ্ছিলেন। তাঁর কনভয়ের একেবারে সামনে ছিল পাইলট কার। পিছনে নিরাপত্তারক্ষীদের গাড়ি। মাঝখানে শুভেন্দুবাবুর গাড়ি। দিঘা থেকে ১১৬ বি জাতীয় সড়ক ধরে নন্দকুমারের দিকে আসছিল মন্ত্রী। চণ্ডীপুরবাজার পেরিয়ে কাণ্ডপসরার কাছে দুর্ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, জাতীয় সড়কে দিঘার দিকে যাচ্ছিল দু’টি লরি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিছনের লরিটি সামনের লরিটিকে ধাক্কা মারে। সামনের লরিটি আবার ধাক্কা মারে পথচারী এক মহিলাকে। সন্ধ্যা মাইতি নামে ওই মহিলার পায়ে আঘাত লাগায় তিনি ছিটকে পড়েন রাস্তায়। তাঁকে বাঁচাতে গিয়েই নিয়ন্ত্রণ হারায় মন্ত্রীর পাইলট কার।
ঘটনায় আটক করা হয়েছে একটি লরির চালক ও খালাসিকে।
ঘটনার পর জখমদের জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও গুরুতর জখম দুই পুলিশ কর্মী মিন্টু হালদার ও ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তীকে পরে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। সন্ধ্যাদেবীকে বিকেলে পাঠানো হয়েছে এসএসকেএমে।
জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘এই ঘটনায় কোনও ষড়যন্ত্র আছে কিনা তদন্ত করা হচ্ছে।’’ যদিও খোদ পরিবহণ মন্ত্রী বলেছেন, ‘‘এটা দুর্ঘটনা। এরমধ্যে ষড়যন্ত্রের কিছু নেই বলেই অনুমান।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy