খাতায়-কলমে অনলাইনে ভর্তি চালু হয়েছে। তা সত্ত্বেও ভর্তিকে ঘিরে বুধবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) দুই গোষ্ঠীর হাতাহাতি এড়ানো গেল না ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজে। জখম এক জন।
কলেজে টিএমসিপি-র দু’টি গোষ্ঠী রয়েছে। একটি ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক সজল ঘোষের। অন্যটি টিএমসিপি-র ঝাড়গ্রাম জেলা কার্যকরী সভাপতি আর্য ঘোষের। এ দিন ভর্তির কাউন্সেলিং এবং ছাত্রছাত্রীদের নথিপত্র যাচাইয়ের সময় সজল গোষ্ঠীর ছেলেরা স্বেচ্ছাসেবকের কার্ড ঝুলিয়ে দাপিয়ে বেড়ান। আপত্তি তোলেন আর্য গোষ্ঠীর সদস্যেরা। তাঁদের কার্ড দেওয়া হয়নি। সজল গোষ্ঠীর বাধায় আর্য গোষ্ঠীর কেউই এ দিন কলেজে ঢুকতে পারেননি বলে অভিযোগ। বিকেলে কলেজ
গেটের বাইরেই দুই গোষ্ঠীর হাতাহাতি হয়। পুলিশ আসে। তবে কাউন্সেলিংয়ে সমস্যা হয়নি বলে দাবি কলেজ কর্তৃপক্ষের।
অভিযোগ, কলেজ কর্তৃপক্ষই টিএমসিপি সদস্যদের ভর্তি প্রক্রিয়ায় নাক গলাতে সম্মতি দেন। অভিযোগ উড়িয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিমাইচাঁদ মাসান্তের দাবি, ‘‘ছাত্র সংসদের চাপে বাধ্য হয়ে কয়েকজনকে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব দিতে হয়।” সজলের দাবি, “ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সহযোগিতা চেয়েছিলেন বলেই আমরা স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করেছি। ভর্তি প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপও করিনি।” তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘আর্য গোষ্ঠী কার্ড না-পেয়ে কলেজে ঢুকে গোলমাল পাকাতে চেয়েছিল। বাধা দিতেই ওরা আমাদের মারধর করে।’’ সজল গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মারধরের পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন আর্য।
রাজ কলেজের গোলমাল নিয়ে টিএমসিপি-র রাজ্য সভানেত্রী জয়া দত্ত বলেন, ‘‘টিএমসিপি-র সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ বরদাস্ত করা হবে না। তবে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধেও বহু অভিযোগ রয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy