ফাইল চিত্র।
সামনে পঞ্চায়েত ভোট। চলতি বছরের শেষে ঝাড়গ্রাম পুরসভার নির্বাচন হওয়ার কথা। তাই আজ জঙ্গলমহলে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপুড়হস্ত হতে পারেন বলে আশায় জঙ্গলমহলের মানুষ।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, বেলপাহাড়ির প্রশাসনিক জনসভায় অজস্র প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। ঝাড়গ্রাম জেলার ২৮১টি প্রকল্পের শিলান্যাস হবে। যেগুলি রূপায়িত করতে খরচ ধরা হয়েছে ১৩৮.৪৩ কোটি টাকা। এ ছাড়া ৩৮ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা খরচ করে রূপায়িত ২০৫টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। বেশ কিছু উপভোক্তার হাতে সরকারি উন্নয়ন পরিষেবা তুলে দেবেন মমতা। এদিন বেলপাহাড়ির প্রশাসনিক সভামঞ্চ থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের গুড়গুড়িপাল থানারও উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানা ভেঙে তাঁতিগেড়িয়া, চাঁদড়া, ধেড়ুয়া ও মণিদহ এই চারটি পঞ্চায়েতকে নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন গুড়গুড়িপাল থানা।
মুখ্যমন্ত্রীর জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সভার মঞ্চ তৈরির কাজ চলছে। বাঁশের বদলে অ্যালুমনিয়ামের খুঁটি, ফ্রেম ব্যবহার করা হয়েছে। এক লক্ষ বর্গ ফুটের সভাস্থলে মুখ্যমন্ত্রীর মূল মঞ্চের আয়তন দেড় হাজার বর্গফুট। লাগোয়া অ্যান্টিচেম্বারটি থাকছে এক হাজার বর্গফুটের। সভাস্থল ভরাতে প্রশাসনের উদ্যোগে ৭০৪টি বাস নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১০টি বাস ঝাড়গ্রাম জেলার। বাকি বাস পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর ও বাঁকুড়া জেলা থেকে নেওয়া হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, এদিন দুপুরে কলকাতা থেকে হেলিকপ্টারে বেলপাহাড়ির কুরুমুটু মাঠে নামবেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর বেলপাহাড়ি স্কুল মাঠের সভাস্থলে প্রশাসনিক জনসভা করবেন। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, ঝাড়গ্রাম জেলার জন্য এ বার অনেক চমক রয়েছে। সভা শেষ করে পর্যটন দফতরের ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্সে রাত্রিযাপন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। কাল, শুক্রবার দুপুরে ঝাড়গ্রাম পুলিশ সুপারের অফিসে জেলার উন্নয়ন নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক সেরে কপ্টারে কলকাতায় ফিরবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy