সভায় মন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র
আজ, সোমবার শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক। তার আগে রবিবার বিকেলে মাইক বাজিয়ে সভা করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
ফরাক্কার শঙ্করপুর হাটে ওই সভায় হাজির ছিলেন রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন নিজেই। সভা মঞ্চের সামনে বক্স, গ্রামের মধ্যে একাধিক মাইকের চোঙ লাগানো ছিল বলে অভিযোগ। জাকির বক্স বাজানোর কথা স্বীকার করলেও মাইক বাজানোর অভিযোগ মানতে চাননি।
একই ভাবে এ দিন মাইক লাগিয়ে নিমতিতার জিয়তকুন্ডেও তৃণমূল সভা করেছে বলে অভিযোগ।
আদালত ও রাজ্য সরকার পরীক্ষা শুরুর তিন দিন আগে থেকেই প্রকাশ্যে মাইক বাজিয়ে সভা করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। শুক্রবার কলকাতায় তৃণমূলের কোর কমিটির সভাতেও দলের নেতাদের এই সময় মাইক বাজিয়ে সভা করতে নিষেধ করে দিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেও মাধ্যমিকের আগের দিন কিভাবে তৃণমূলের দলীয় সভা হল তা নিয়ে তাই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। কংগ্রেসের রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও বিধায়ক মইনুল হক বলেন, “শাসক দল বলেই কী এভাবে ছাড় পাওয়া যায়? সভা করার প্রশাসনিক অনুমতি তারা কী করে পেলেন? সাত দিন ধরে মাইক নিয়ে এলাকায় প্রচার হয়েছে সভার। পুলিশ ও প্রশাসন চোখ বুজে রইল।”
সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য আবুল হাসনাত খানের অভিযোগ, “বিধি ভেঙে আয়োজিত সভায় রাজ্যের মন্ত্রী হাজির থাকেন কী ভাবে?”
ফরাক্কার বিডিও কেশাঙ ধেনডুপ ভুটিয়ার সাফাই, “সভার ব্যাপারে কেউ আমার কোনও অনুমতি নেননি। মাইক তো বাজানোই যাবে না। আমি খোঁজ নিচ্ছি।”
ফরাক্কার আই সি উদয় শঙ্কর ঘোষও বলছেন, “সভায় মাইক ব্যবহার হওয়ার তো কথা নয়। দু’একটি হাল্কা শব্দের বক্স ব্যবহার হয়েছে বলে জানি। তবু খোঁজ নিচ্ছি।”
মাধ্যমিকের আগের দিন এ ভাবে প্রকাশ্যে মাইক বাজিয়ে সভা কেন? মন্ত্রী জাকির হোসেন বলছেন, “সভায় কোনও মাইক ব্যবহার করা হয়নি। সভা হয়েছে বক্স বাজিয়ে। তাই পরীক্ষার্থীদের অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। তাঁর সংযোজন, ‘‘আসলে সভায় জন সমাবেশ দেখে ভয় পেয়ে বিরোধীরা মিথ্যে অভিযোগ তুলছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy