স্মৃতিতে টাটকা দৌলতাবাদের দুর্ঘটনা। —ফাইল চিত্র।
দু’দিন আগেই ট্রাফিক নিরাপত্তা নিয়ে নদিয়া পুলিশকে প্রায় তুলোধোনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আক্ষেপ, জাতীয় সড়কে বেপরোয়া লরি অন্য গাড়ি বা পথচারীদের ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। স্টিয়ারিং হাতে গুন্ডামি করে যাতে কেউ পালাতে না-পারে, তার জন্য পুলিশকে রাস্তার ধারে-ধারে ওয়াচ টাওয়ার বসাতেও বলেছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ প্রায় সত্যি প্রমাণিত করে বুধবার বিকেলে উমরপুরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে পরপর পাঁচ জনকে ধাক্কা দিল নিয়ন্ত্রণহীন লরি। ধাক্কা মারল রাস্তার পাশে দাঁড়ানো একটি টোটোতেও। মৃত্যু হল এক যুবকের। চার আহত জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, বেহিসেবি গাড়ি চালানোর জেরে কেউ হতাহত হলে ফৌজদারি ধারায় খুনের মামলা রুজু করতে হবে। লরিটি আটক হলেও চালক অবশ্য পালিয়েছে।
পুলিশ জানায়, মৃতের নাম সুব্রত ঘোষ (৩৩)। বাড়ি রঘুনাথগঞ্জের গোপালনগরে। একটি বেসরকারি বিমা কোম্পানির কর্মী ছিলেন তিনি। এ দিন উমরপুরে নিজের অফিসের সামনেই মোটরবাইক নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। ইতিমধ্যে লরিটি একের পর এক পথচারীকে ধাক্কা দিতে-দিতে টোটোয় এসে ধাক্কা মারে। কী ঘটছে তা বুঝে ওঠার আগেই হুড়মুড়িয়ে সুব্রতর প্রায় ঘাড়ের উপরে এসে পড়ে লরিটি। তাঁকেও জঙ্গিপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে বহরমপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যান পরিজনেরা। কিন্তু বাঁচানো যায়নি।
এ দিন ফরাক্কাতেও লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় দাঁড়িয়ে থাকা একটি ছোট গাড়ির চালকের। সকালে শঙ্করপুরের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম সামাউন শেখ (৪৭)। বাড়ি সুতির ছাবঘাটিতে। গাড়ি নিয়ে তিনি যাত্রী তুলছিলেন। গাড়িতে এক মহিলাও ছিলেন। সেই সময় ফরাক্কার দিক থেকে এসে লরিটি ধাক্কা মারলে ঘটনাস্থলেই সামাউনের মৃত্যু হয়। মহিলাকে স্থানীয় ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে।
ঘটনাচক্রে, সোমবারই মুর্শিদাবাদে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। ভাণ্ডারদহ বিলে বাস পড়ার ঘটনায় ইতিমধ্যেই তাঁর রক্তচাপ বেড়েছে। তার পরেও পরপর এই সব দুর্ঘটনা— পুলিশকর্তারা তাঁর প্রশ্নবাণের উত্তর দিতে পারবেন তো?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy