Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

মাধ্যমিকের শেষে অকাল হোলি

মঙ্গলবার ছিল বায়োলজি। প্রশ্ন সহজ। শেষ মূল পরীক্ষাও। আনন্দও তাই বাঁধনছাড়া। এ বারে দোল ছিল। কিন্তু ওরা রংবাজি থেকে দূরে ছিল। সামনে যে মাধ্যমিক!

নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব চিত্র।

সুদীপ ভট্টাচার্য
কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৮ ০১:২৫
Share: Save:

পরীক্ষা শেষ হতেই বদলে গেল পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরের চেহারাটা। আকাশে উড়ল নীল, সবুজ আবির। স্কুলের পোশাক পরেই সে কী হইহই কাণ্ড! পথচলতি লোকজন থমকে দাঁড়ালেন। কেউ কেউ সে দৃশ্য বন্দি করলেন মোবাইলে। পরীক্ষার্থীরাও রং মেখে, আবির উড়িয়ে তুলেন সেলফি।

মঙ্গলবার ছিল বায়োলজি। প্রশ্ন সহজ। শেষ মূল পরীক্ষাও। আনন্দও তাই বাঁধনছাড়া। এ বারে দোল ছিল। কিন্তু ওরা রংবাজি থেকে দূরে ছিল। সামনে যে মাধ্যমিক! এক-আধটু আবিরের বায়না করলেও বাবা-মায়ের কাছে শুনতে হয়েছিল, ‘‘যা আনন্দ হবে পরীক্ষার পরে। যাও, এখন গিয়ে পড়তে বোসো।’’

এ দিন অবশ্য সে সব বাধা ছিল না। চিন্তামুক্ত বাবা, মা, মেয়ে সকলেই। চৈত্রের আকাশে উড়ল দেদার আবির। কৃষ্ণনগর মৃণালিনী স্কুলের সামনে রাস্তা আবিরে আবিরে ছয়লাপ। এই স্কুলে পরীক্ষা দিতে এসেছিল কৃষ্ণনগর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের মেয়েরা।

ঈপ্সিতা ঘোষ বাবার গালে এক মুঠো আবির মাখিয়ে বলে, ‘‘এ বছর বাবার সাথে রং খেলা হয়নি। আজ পরীক্ষা শেষে সেই সাধ পূরণ হল।’’ ওই স্কুলেই পরীক্ষা দিতে এসেছিল চক দিগনগর তারকদাস মেমোরিয়াল হাই স্কুল, হিন্দু কল্যাণ স্কুলের পড়ুয়ারাও। জয়িতা দাস বলে, ‘‘পরীক্ষার আগে অনেকেই অচেনা ছিল। পরীক্ষার চাপে আলাপ হয়নি। আজ নীল-লাল-সবুজে একাকার। জমে গেল বন্ধুত্বও।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE