রাতভর হুল্লোড় চলেছে বাড়িতে। সকালে বাথরুমের মধ্যে ঝুলন্ত দেহ মিলল সেই বাড়ির এক মহিলার। পুলিশ আসতেই পালিয়ে যায় বাড়ির লোকেরা। শীলা সরকার (৩২) নামের ওই মহিলার বাবার বাড়ির অভিযোগ, খুন করা হয়েছে তাঁকে। ৯ এপ্রিলের ওই ঘটনার পর অবশ্য অভিযুক্তদের এখনও ধরেনি পুলিশ।
শেষ পর্যন্ত বোনের খুনের বিচার চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন চাকদহের বাসিন্দা গৌতম সরকার। শনিবার তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠিয়েছেন। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে জেলা এবং রাজ্যের পুলিশ কর্তাদের কাছেও আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
গৌতমবাবু বলেন, ‘‘পুলিশ নানা টালবাহানা করে অভিযোগ নেয়। খুনের বদলে আত্মহত্যা লিখতে বলেছিল পুলিশ। বয়ান বদলালে তবেই অভিযোগ নেওয়া হয়। তারপরও কেউ গ্রেফতার হয়নি। কোনও উপায় না দেখে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছি।’’
গৌতমবাবু কল্যাণীর এসডিপিও-র কাছেও অভিযোগ জানিয়েছেন। এসডিপিও উত্তম ঘোষ বলেন, ‘‘খোঁজ নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চাকদহ থানার পুলিশের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলব।’’
গৌতমবাবু জানান, ২০০৮ সালে চাকদহের চুয়াডাঙা গৌরীপুরের বাসিন্দা রাধেশ্যাম সরকারের সঙ্গে বিয়ে হয় শীলার। বিয়েতে বিস্তর পণ দিতে হয়েছিল। পণ দিয়েও শ্বশুরবাড়িতে সুখ মেলেনি। কারণ, মেয়ের গায়ের রঙ কালো। বিয়ের পর থেকেই শুরু হয় অত্যাচার। আরও পণের দাবি করা হয়। শীলার বাবা জীবনবাবু মেয়েকে রঙিন টিভি কিনে দেন। অত্যাচার তবু থামেনি।
রাধেশ্যাম বিদেশে যাবে বলে শ্বশুর বাড়ি থেকে দু’লক্ষ টাকা দাবি করে। গৌতমবাবু জানান, তারা কোনওরকমে ৭০ হাজার টাকা দেন। ফিরে ব্যবসা করার জন্য ফের দু’লক্ষ টাকা দাবি করে রাধেশ্যাম। মাসখানেক আগে এক লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা রাধেশ্যামকে দেওয়া হয়। তবুও অত্যাচার থামেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy