Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

আইটিআই পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসে নদিয়ায় ধৃত দুই

আইটিআই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় রবিবার রাতে নদিয়ার কল্যাণী থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে অরিজিৎ দাস নামে এক ছাত্রকে। সে কল্যাণী আইটিআই-এর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। অরিজিৎকে জেরা করে সোমবার বিকেলে তার বন্ধু তুহিন দাসকে রানাঘাট থেকে গ্রেফতার করেন সিআইডি-র গোয়েন্দারা।

ধৃতকে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ছবি: সুদীপ ঘোষ।

ধৃতকে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ছবি: সুদীপ ঘোষ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০১৫ ২০:০৮
Share: Save:

আইটিআই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় রবিবার রাতে নদিয়ার কল্যাণী থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে অরিজিৎ দাস নামে এক ছাত্রকে। সে কল্যাণী আইটিআই-এর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। অরিজিৎকে জেরা করে সোমবার বিকেলে তার বন্ধু তুহিন দাসকে রানাঘাট থেকে গ্রেফতার করেন সিআইডি-র গোয়েন্দারা। দু’জনেই অন্তত ২০ জন পরীক্ষার্থীর কারও কাছে ১০ হাজার, কারও কাছে পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করেছিল।

কিন্তু প্রশ্নপত্র ফাঁস হল কী ভাবে? সিআইডি-র দাবি, এখনও পর্যন্ত জেরায় ওই দু’জন জানিয়েছে, স্থানীয় এক যুবক তাদের ওই প্রশ্নপত্র বিক্রি করতে দিয়েছিল। ওই যুবকের খোঁজ করছেন গোয়েন্দারা।

তুহিনকে আজ, মঙ্গলবার বারাসত আদালতে তোলা হবে বলে গোয়েন্দারা জানিয়েছেন। তুহিন কোন কলেজের কোন বর্ষের ছাত্র, সেটা গোয়েন্দাদের কাছে এখনও পরিষ্কার নয়। অরিজিৎকে এ দিনই বারাসত আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। বিচারক তাঁকে আট দিনের জন্য সিআইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ধৃত এই দুই ছাত্রকে জেরা করার পর সিআইডি জানিয়েছে, ওই দু’জনের দায়িত্ব ছিল, নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় আইটিআই প্রবেশিকা পরীক্ষার পরীক্ষার্থীদের কয়েক জনের কাছে প্রশ্নপত্র পৌছে দেওয়া। সেই মতো ২৮ জুন হওয়া ওই পরীক্ষার বেশ কিছু দিন আগেই প্রশ্নপত্র পৌঁছে যায় কয়েক জন পরীক্ষার্থীর কাছে। গোয়েন্দাদের দাবি, সোমবার রাত পর্যন্ত ধৃত দু’জন স্বীকার করেছে, তারা ২০ জন পরীক্ষার্থীর কাছে প্রশ্নপত্র বিক্রি করেছিল। কারও কাছে থেকে পাঁচ হাজার, কারও কাছে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছিল প্রশ্নপত্র।

কিন্তু এ ক্ষেত্রে কল্যাণী থানার পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে আগেভাগে সব জেনেশুনেও ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

পুলিশের একাংশের দাবি, পরীক্ষার আগের দিন অর্থাৎ ২৭ জুন-ই ঘটনার আঁচ পেয়ে কল্যাণী থানা প্রথমে অরিজিৎ ও পরে তুহিনকে ডেকে পাঠায়। এবং দু’জনেই পুলিশের কাছে প্রশ্নপত্র ফাঁস বা বিক্রির কথা স্বীকারও করে নেয়। কিন্তু তার পরেও কোনও মামলা রুজু করা তো দূরের কথা, কোনও জেনারেল ডায়েরি না করেই ছেড়ে দেওয়া হয় ওই দু’জনকে।

কিন্তু কেন?

পুলিশ সূত্রেরই খবর, ওই দু’জনকে যখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, তখন এক প্রভাবশালী ব্যক্তির ফোন যায় থানায়।। তাঁর কথা মতোই রাত ন’টা নাগাদ অরিজিৎ ও তুহিনকে ছেড়ে দেয়ে কল্যাণী থানা।

তা হলে সিআইডি কি ওই পুলিশদের জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম জানবে না?

সিআইডি-র তদন্তকারীরা অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁদের তদন্তের মধ্যে আপাতত ওই বিষয়টি নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE