Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

ইস্তফার আর্জি খারিজ, ফের কাজে হাংলু

ভবিষ্যতে কী হবে তা জানা নেই। তবে আপাতত তিনি উপাচার্য হিসেবেই বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ চালিয়ে যাবেন। বুধবার সন্ধ্যায় কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রতনলাল হাংলু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘রাজ্যপাল ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেননি। তিনি কাজ চালিয়ে যেতে বলেছেন। আগের মতোই বিশ্ববিদ্যালয়েও আসছি। বুধবার ছাত্র-শিক্ষকদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা বিষয় নিয়ে কথাবার্তাও হয়েছে। তবে আগামী দিনে কী হবে জানি না।’’

ছাত্রদের মুখোমুখি উপাচার্য রতনলাল হাংলু। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়।

ছাত্রদের মুখোমুখি উপাচার্য রতনলাল হাংলু। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রানাঘাট শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০১৫ ০১:৪৬
Share: Save:

ভবিষ্যতে কী হবে তা জানা নেই। তবে আপাতত তিনি উপাচার্য হিসেবেই বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ চালিয়ে যাবেন। বুধবার সন্ধ্যায় কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রতনলাল হাংলু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘রাজ্যপাল ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেননি। তিনি কাজ চালিয়ে যেতে বলেছেন। আগের মতোই বিশ্ববিদ্যালয়েও আসছি। বুধবার ছাত্র-শিক্ষকদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা বিষয় নিয়ে কথাবার্তাও হয়েছে। তবে আগামী দিনে কী হবে জানি না।’’
এ দিন ছাত্র ও শিক্ষকদের সঙ্গে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করার বিষয়টি আগেই ঠিক হয়েছিল। বিকাল তিনটে নাগাদ উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যাসাগর সভাগৃহে আসেন। সভাগৃহে পড়ুয়াদের ব্যাপক ভিড়ও হয়েছিল। অনেকে বসার জায়গা না পেয়ে মেঝেতে বসে পড়েন। উপাচার্য প্রায় ৩৫ মিনিট বক্তব্য রাখেন। একটি প্রজেক্টরে বিভিন্ন ছবির সাহায্যে উপাচার্য বেশ কিছু ছবি দেখান। সেই ছবির মাধ্যমে তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেন তাঁর আসার আগে ও পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কী কী পরিবর্তন হয়েছে। প্রশাসনিক ভবন থেকে শুরু করে হস্টেল, শ্রেণিকক্ষ আগের থেকে অনেক উন্নত হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন। জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য তাঁর আরও পরিকল্পনা রয়েছে।
উপাচার্য জানান, তিনি ছাত্রদের রাজনীতি করা পছন্দ করেন। তবে ছাত্রদেরও রাজনৈতিক বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি। তাঁরা যেন কখনই বিপথে পরিচালিত না হন সে বিষয়েও উপাচার্য সতর্ক করেন। জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও সমস্যা দেখা দিলে তা বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে মিটে যায়। কিন্তু কল্যাণীতে যা হয়েছে, সেটা গোটা বিশ্ব জানতে পেরেছে। তাঁর সংযোজন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলে একই পরিবারের সদস্য। তাঁরা কি কেউ কাউকে আটকে রাখতে পারে না ভাঙচুর করতে পারে! বাংলার সংস্কৃতি ভাল সংস্কৃতি। সেখানে এই ধরনের বিষয় বেমানান। তিনি বলেন, ‘‘সেদিনের আন্দোলনে বহিরাগতরাও ছিল। তাদের চিহ্নিত করা গিয়েছে। বহিরাগতরা এসে পড়ুয়াদের নানা ভাবে ভয় দেখিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মায়ের সমান। তাকে সম্মান করতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের বাইরের জগতের সঙ্গে পরিচয় ঘটায়।’’
গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে রাতভর উপাচার্যকে ঘেরাও ও বিক্ষোভের ঘটনার পিছনে যারা ছিল তাদের নাম না করে এ দিন সতর্ক হওয়ার বার্তা দিয়েছেন উপাচার্য। তিনি জানান, বাইরের কিছু লোক তাদের স্বার্থকে চরিতার্থ করার চেষ্টা করছে। তিনি থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না। সেই কারণেই বাইরের ওই লোকজন চাইছে যেনতেনপ্রকারেন তাঁকে সরাতে। সেই জন্য সুকৌশলে কিছু ছাত্রকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করা হয়েছিল।

এ দিন সকলকেই নিজেদের নাম সই করে সভাকক্ষে প্রবেশ করতে হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, বহিরাগত এড়াতেই এই পদক্ষেপ। উপাচার্যের বক্তব্য শেষ হতেই তিনি পড়ুয়ারাও পরে বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। শিক্ষকের ঘাটতি, সময় মতো মার্কশিট, পরিস্রুত পানীয় জলের ঘাটতির মতো বেশ কিছু সমস্যার কথাও উঠে আসে। সব শোনার পরে বিষয়গুলো দেখার আশ্বাস দেন উপাচার্য।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE