২০১৫-১৬ আর্থিক বছরে ৩২ লক্ষ ৩ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন ধান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলাপ্রশাসন। জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন, ‘‘জেলার ১৮টি কেন্দ্রীয় উৎপাদন কেন্দ্র বেছে নেওয়া হয়েছে, যেখান থেকে সহায়ক মূল্যে থেকে চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনা হবে।’’ তিনি জানান, এক একজন কৃষক সর্বোচ্চ ৩০ কুইন্ট্যাল ধান বিক্রি করতে পারবেন। সহায়ক মূল্য হিসেবে কৃষকদের দর দেওয়া হবে কুইন্ট্যাল প্রতি ১৪১০ টাকা। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় উৎপাদন কেন্দ্রে নিয়ে এসে ধান বিক্রির জন্য কুইন্ট্যাল প্রতি ১৫ টাকা উৎসাহ ভাতাও মিলবে।
সোমবার ডিষ্ট্রিক্ট মনিটরিং কমিটির বৈঠক ছিল। ওই বৈঠকে হাজির কংগ্রেসের ১১ জন বিধায়ক তার বিরোধিতা করেন। কান্দির কংগ্রেস বিধায়ক অপূর্ব সরকার বলেন, ‘‘সহায়ক মূল্যে ধান কেনার জন্য জেলার ১৮টি জায়গা বেছে নেওয়া হলে বিপাকে পড়বেন চাষিরা। কারণ বিভিন্ন গ্রাম থেকে ওই কেন্দ্রগুলির দূরত্ব ১৫-২০ কিমি। ওই কেন্দ্রে ধান নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি অর্থও খরচ হবে তাদের। সেই সঙ্গে কৃষকের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ কুইন্ট্যাল ধান কেনা হলে অনেক কৃষক সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করা থেকে বঞ্চিত হবেন।’’ তিনি জানান, কৃষক সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রির জন্য নিয়ে আসা হলে তাঁদের কাছ থেকে কুইন্ট্যাল প্রতি ১০০ টাকা করেও নেওয়া হচ্ছে। কারা নিচ্ছে খতিয়ে দেখে প্রশাসনের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy