সাগরদিঘি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের আকলেমা বিবিকে কাজকর্ম বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার হাইকোর্টে বিচারপতি গিরিশচন্দ্র গুপ্ত ও শিবসাধন সাধুর ডিভিসন বেঞ্চ এক নির্দেশ জারি জানান, পঞ্চায়েত সভাপতি হিসেবে আপাতত কোনও কাজ করতে পারবেন না আকলেমা বিবি। সেই সঙ্গে তাঁকে অনাস্থার অপসারণ মামলায় বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর দেওয়া নির্দেশের উপরেও স্থগিতাদেশ জারি করেছেন ডিভিসন বেঞ্চ। বিধানসভা নির্বাচনের মুখে জেলার একমাত্র তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির ক্ষমতা হাইকোর্ট কেড়ে নেওয়ায় অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস।
সাগরদিঘি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে তৃণমূলেরই ১১ জন সদস্য গত বছর ২৭ অক্টোবর অনাস্থা আনেন। অনাস্থা সভার দিন ১৪ নভেম্বর ধার্য করে সদস্যদের কাছে নোটিশ পাঠান জঙ্গিপুরের মহকুমাশাসক। কিন্তু ১৩ নভেম্বর ফের এক নোটিশ জারি করে সেই অনাস্থা সভা স্থগিত করে দেন। কিন্তু সমিতির ৩৩ জন সদস্যের মধ্যে ২২ জন সদস্য ১৪ নভেম্বর নিজেরাই অনাস্থা সভায় হাজির হয়ে আকলেমা বিবির বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে তাঁকে অপসারণ করেন। অনাস্থা সভায় তৃণমুলের বিক্ষুব্ধ ১১ জন সদস্য ছাড়াও সিপিএমের ৭ ও কংগ্রেসের ৪ জন সদস্য হাজির হন।
এ দিকে, অনাস্থা সভা স্থগিত করতে মহকুমাশাসকের নির্দেশ জারির বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সঞ্জয় চক্রবর্তী কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু গত ৬ ফেব্রুয়ারি এক নির্দেশ জারি করে জঙ্গিপুরের মহকুমাশাসককে ফের অনাস্থা সভা ডেকে সমস্ত প্রক্রিয়াটি আদালতের নির্দেশ হাতে পাওয়ার ৮ সপ্তাহের মধ্যে শেষ করতে বলেন।
কিন্তু সেই আদেশের বিরুদ্ধে ডিভিসন বেঞ্চে আপিল করেন সঞ্জয়বাবু। সঞ্জয়বাবুর আইনজীবী ইউসুফ দেওয়ান বলেন, ‘‘মঙ্গলবার বিচারপতি গিরিশচন্দ্র গুপ্ত ও শিবসাধন সাধুর ডিভিসন বেঞ্চের এজলাসে মামলার শুনানির পর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আকলেমা বিবিকে অনাস্থার অপসারণ মামলায় বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর দেওয়া নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছেন। সেই সঙ্গে সাগরদিঘি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হিসেবে আকলেমা বিবি আপাতত কোনও দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না বলে বলা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy