দিনের পর দিন গুজব ছড়াচ্ছে বাজারে। রটিয়ে দেওয়া হয়েছে, এক টাকার নতুন ছোট কয়েন জাল। ফলে তা কেউ নিতে চাইছে না।
অথচ পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা এত দিন নড়ে বসেননি।
অন্য সব কয়েন নিয়েও গোলমাল অব্যাহত বহু জায়গায়। করিমপুর থেকে কৃষ্ণনগর, বেলডাঙা থেকে বহরমপুর— কোনও ধরনের কয়েনই নিতে চাইছেন না ছোট দোকানদার থেকে সাধারণ মানুষ। মূলত ব্যাঙ্কের খুচরোর ভাঁড়ার উপচে পড়াতেই এই সমস্যা ঘোরালো হয়েছে।
আগে দশ টাকার কয়েন জাল বলে যখন গুজব ছড়িয়েছিল, বহু এলাকায় মাইক নিয়ে প্রচার চালানো হয়েছিল। কেউ কয়েন না নিলে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছিল পুলিশ। শনিবার পর্যন্ত দুই জেলায় তেমন কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।
তবে নদিয়া জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি সামাল দিতে কাল, সোমবার থেকেই প্রচার চালানো হবে। জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত বলেন, “একটি হেল্পলাইন নম্বর দিয়ে সোমবার থেকে প্রচার হবে।”
কয়েন না নেওয়া নিয়ে ইতিমধ্যে দু’জায়গায় মারপিট হয়ে গিয়েছে বেলডাঙায়। অথচ মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার মুকেশ কুমারের দাবি, ‘‘কয়েন নিয়ে সমস্যার কথা জানা নেই। সমস্যা থাকলে তা সমাধানের দায় প্রাথমিক ভাবে ব্যাঙ্কের। তারা সাহায্য চাইলে বিবেচনা করা যাবে।’’ বহরমপুরের পুরপ্রধান নীলরতন আঢ্যও দায় এড়িয়ে বলেন, ‘‘কয়েন সমস্যার সঙ্গে পুরসভার সম্পর্ক নেই। পুরোটাই ব্যাঙ্কের দায়িত্ব।’’
কী বলছে ব্যাঙ্ক? নদিয়ার লিড ব্যাঙ্ক ম্যানেজার সুগত লাহিড়ি বলেন, “এক টাকার কয়েন অচল নয়। কেউ তা নিতে না চাইলে বাসিন্দারা থানায় অভিযোগ জানাতে পারেন। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যৌথ ভাবে আমরা গুজবের বিরুদ্ধে প্রচার চালাব।” তিনি জানান, নোট বাতিলের সময়ে বিভিন্ন ব্যাঙ্কে কাজের চাপ প্রচুর বেড়েছিল। ব্যাঙ্কে কয়েন গুনে নিতে সমস্যা হচ্ছিল। এখন সমস্যা ততটা নেই।
ব্যাঙ্কের যদি সমস্যা থাকেও, প্রশাসন কি অবাধে গুজব ছড়াতে দিতে পারে? তা রোখার দায় নেই? এই প্রশ্নের সদুত্তর মেলেনি। মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত জেলাশাসক বিভু গোয়েল শুধু বলেন, ‘‘কয়েন নিয়ে নির্দিষ্ট অভিযোগ পাইনি। তা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy