জখম: হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র
পঞ্চায়েত ভোট এখনও ঢের দেরি। কিন্তু তার আগে এখন থেকেই এলাকায় কার কত শক্তি তা দেখাতে গ্রামের নেতারা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এরই অঙ্গ হিসেবে শাসকদলের নেতারা মাঝেমধ্যেই নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ছেন। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর বিলিতে কার প্রভাব থাকবে, তা নিয়ে নেতারা ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ছেন। মাঝেমধ্যেই তা মারামারির স্তরে পৌঁছে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার রাতে ভরতপুরের গড্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদপুরে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে দলেরই কয়েকজন সমর্থকের বিরুদ্ধে। জখম হাসিবুল শেখ কান্দি মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর দেওয়ার জন্য নামের তালিকা প্রকাশ হয়েছে। ৪৭জন ঘর পাবেন। তালিকায় রাজা শেখ, কামিরুল শেখ ও আজিজুল শেখদের অনুগামীদের নাম না থাকায় তারা হাসিবুলকে মারধর করে বলে অভিযোগ। হাসিবুল ভরতপুর থানায় বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। হাসিবুলের দাবি, তাঁর বাড়িও ভাঙচূর করা হয়েছে। রাজা শেখ রড দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করে। মাটিতে লুটিয়ে পড়ে হাসিবুল শেখ। হাসিবুলের স্ত্রী সাবিনা বিবি বলেন, “আমি সিপিএমের টিকিটে জিতেছিলাম। এলাকার উন্নয়নের জন্যই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলাম। আমার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার বিষয়টি রাজা ও তার অনুগামীরা মেনে নিতে পারেনি।’’ ঘটনার পর অভিযুক্তেরা পলাতক বলে পুলিশ জানিয়েছে।
একই ভাবে ওই ঘর বিলি করাকে ঘিরে সালার থানার কাগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের ধনডাঙা গ্রামে সিপিএম থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া পঞ্চায়েত সদস্য দ্বিবল শেখের সঙ্গে এলাকার তৃণমূল নেতা ইসমাইল শেখের লোকজনের মারপিঠের ঘটনা ঘটে। ঘটনায় তেরো জন জখম হয়েছিলেন। কলকাতায় চিকিৎসা চলাকালীন লালচাঁদ শেখ (২৪) নামে এক তৃণমূল সমর্থকের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার কিছু দিন পরেই ভরতপুর থানার জজান গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রাধারানি বাগদির স্বামী বিশ্বজিৎ বাগদিকে মারধর করে দলেরই সমর্থক সায়েম শেখ। প্রতিটি ক্ষেত্রে তৃণমূলে গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্য চলে এসেছে। অথচ নেতাদের দাবি, দলের মধ্যে কোনও কোন্দল নেই।
একই ভাবে ভরতপুরের চাঁদপুরের ঘটনার পর ভরতপুর ১ নম্বর ব্লকের যুব তৃণমূলের সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, “রাজা শেখরা তৃণমূলের লোক নয়। ওরা কংগ্রেসের লোকজন। পরিকল্পিত ভাবে কংগ্রেস ওই কাজ করেছে।” যদিও সাবিনা বিবি দাবি করেন, “রাজারা তৃণমূলের ও লোক।’’ ভরতপুর ১ ব্লকের কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুল বারি বলেন, “তৃণমূলের কথায়, জেলাতেই তো কংগ্রেস নেই। তাহলে তৃণমূলকে মারবে কারা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy