Advertisement
০৮ মে ২০২৪

জমি থেকে উৎখাতের অভিযোগ

বর্গাদারকে জমি থেকে উৎখাতের অভিযোগ উঠল। নবগ্রামের সুকি গ্রামের ঘটনা। লালগোলা আদালত আগামী পয়লা জুন পর্যন্ত জমির উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে।

সেই শংসাপত্র। —নিজস্ব চিত্র

সেই শংসাপত্র। —নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:১৫
Share: Save:

বর্গাদারকে জমি থেকে উৎখাতের অভিযোগ উঠল। নবগ্রামের সুকি গ্রামের ঘটনা। লালগোলা আদালত আগামী পয়লা জুন পর্যন্ত জমির উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে।

সূর্য প্রধান নামে ওই বর্গাদারের দাবি, বছর চারেক আগে জমির মালিক চিন্ময় প্রধান তাঁকে না জানিয়ে জমি বিক্রি করে দেন। নতুন মালিক এসে ফসলের ভাগ চাইলে বিষয়টি তিনি জানতে পারেন। মাস দেড়েক আগে জমির নতুন মালিক ওই জমিতে চারদিকে পিলার পুঁততে যান। বাধা দিতে গেলে নতুন মালিক নিমগ্রামের সেই গোলাম কবীর শুনিয়ে দেন, ওই জমিতে কোনও বর্গাদার নেই! জমির আল কেটে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

তারপর থেকে পুলিশের কাছে মাস দেড়েকের মধ্যে তিন বার তিনি লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু বর্গাচাষির স্বার্থ রক্ষায় পুলিশের হেলদোল নেই বলে সূর্যের অভিযোগ। ওসি দুলাল বিশ্বাস অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘‘সুকি এলাকায় বর্গাচাষ নিয়ে বেশ কিছু সমস্যা আছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই অভিযোগ পাওয়ার পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে। ফের কোনও সমস্যা দেখা দিলে পদক্ষেপ করা হবে।’’ জবরদখলের অভিযোগ যাঁর বিরুদ্ধে, গোলাম কবীর বলেন, ‘‘ওই জমিতে কোনও বর্গাদার নেই জেনে বছর চারেক আগে কয়েকজন মিলে সুকির চিন্ময় প্রধানের কাছ থেকে ১ একর ৮৮ শতক জমি কিনেছি। তাই তার দখল নিয়েছি।’’

সাগরদিঘি লাগোয়া নবগ্রামের সুকির মোড় থেকে কিছুটা উত্তরে জাতীয় সড়ক থেকে একটি জমি পরেই ওই জমি। পরিমাণ প্রায় পৌনে ৬ বিঘা। ১৯৯৯ সালে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর তাঁকে ওই জমির বর্গাচাষি হিসাবে মেনে নিয়ে শংসাপত্রও দেয়। জমির মালিক হিসাবে এত দিন ফসলের ভাগও দিয়ে আসছিলেন চিন্ময় প্রধানকে। সেই রসিদও রয়েছে তাঁর কাছে। কিন্তু বছর চারেক আগে চিন্ময় প্রধান জমিটি বিক্রি করে দেন নিমগ্রামের গোলাম কবীর ও তাঁর সঙ্গীদের কাছে।

কিন্তু বর্গাদারের অনুমতি ছাড়াই কি জমি এ ভাবে বিক্রি করে দেওয়া যায়? আইনজীবী তুষার মজুমদার জানান, তা বিক্রি করা যায়। তবে জমির চরিত্রের কোনও বদল হয় না। অর্থাৎ জমিটি বর্গা জমিই থেকে যায়। সে ক্ষেত্রে জমির নতুন মালিক ফসলের ভাগ পাবেন। জেলা ভূমি দফতরের এক আধিকারিকও সে কথা জানান। সূর্যের দাবি, মালিকানা বদলের পর বৈধ কাগজপত্র দেখানো হয়নি বলে তিনি ফসলের ভাগ দেননি।

এ দিকে বর্গাচাষি হিসাবে মেনে নিয়ে ১৯৯৯ সালে ভূমি দফতর থেকে শংসাপত্র দিলেও জমির পড়চা (রেকর্ড)-য় সূর্য প্রধানের নাম নথিবদ্ধ করা হয়নি। ফলে শংসাপত্র থাকলেও খাতায়-কলমে সূর্য ওই জমির বর্গাদার নন। জমির নতুন মালিক গোলাম কবীর বলেন, ‘‘সে কারণে ওই জমির কোনও বর্গাচাষি নেই বলে জানি। তাই কিনেছি।’’ ভূমি দফতরের নবগ্রাম ব্লক আধিকারিক সুমিত চন্দ্র বলেন, ‘‘বর্গাচাষি হিসাবে মেনে নিয়ে ১৯৯৯ সালে ভূমি দফতর থেকে শংসাপত্র দিলেও জমির পড়চা (রেকর্ড)-য় সূর্য প্রধানের নাম নথিবদ্ধ করা হয়নি। সেই ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা মহকুমা ভূমি আধিকারিকের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে।’’

উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র। পুর এলাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবা আরও উন্নত করার জন্য পুরসভায় উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র খোলার উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। বুধবার কান্দি পুরসভায় জেলার স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক ও পুরসভা কর্তৃপক্ষের মধ্যে এ নিয়ে বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে পুর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ভবনের নির্মানের জন্য চিহ্নিত জমি পরিদর্শন করেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভাশিস সাহা। তিনি জানান, ‘ন্যাশনাল আরবান হেলথ মিশন’-এর মাধ্যমে জেলার সাতটি পুরসভায় ওই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Complain Eviction
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE