সরকারি নিয়ম মেনে দু’মাস আগে আবেদন করা সত্ত্বেও জেলা প্রশাসন সভা করার অনুমতি দেয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে বহরমপুর এফইউসি ময়দানের বদলে বহরমপুর টেক্সটাইল কলেজ মোড়ে সভা করতে হয় তাঁদের। রবিবার তেমনিই অভিযোগ আনলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য। সভার শুরুতে প্রশাসনের সমালোচনা করে মৃগাঙ্কবাবু জানান, সভা করার জন্য দু’মাস আগে প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন করেন। বেসরকারি একটি সংস্থা মেলা করবে বলে মাঠ নিয়েছে বলে জানানো হয় তাঁদের। সেই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাদের মেলা করার কোনও কথা নেই বলে জানায় তারা। বিষয়টি ফের প্রশাসনকে জানান। তখন প্রশাসন থেকে ফের এক সংস্থাকে মাঠ দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সংস্থাও তাদের মাঠ নেওয়ার কথা নেই বলে জানায়। আসলে প্রশাসন তাঁদের সভা বানচাল করার চেষ্টা করে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
শেষ পর্যন্ত বহরমপুর টেক্সটাইল কলেজ মোড়ে ওই সভার আয়োজন করা হয়। কিন্তু তার পরেও সভা মঞ্চ বাঁধা নিয়েও পুলিশ ও প্রশাসন আপত্তি তোলে বলেও অভিযোগ। পরে টেক্সটাইল কলেজ মোড় থেকে বেশ কিছুটা এগিয়ে সভা মঞ্চ করতে হয় বলেও মৃগাঙ্কবাবু জানান। তিনি বলেন, ‘‘আজকের এই সভা আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জের সভা। জেলার বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ এদিনের সভায় ভিড় করে ওই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করেছেন।’’ সভায় বক্তৃতা দিতে উঠে প্রশাসনের ওই আচরণের প্রসঙ্গ তুলে সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, ‘‘সভার জন্য মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দেননি। মাঠের মধ্যে কর্মী-সমর্থকেরা থাকলে পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজনের সুবিধে হত। সাধারণ মানুষেরও হয়রান হতে হত না।’’ এডিএম জেনারেল শ্যামলকুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘মাঠ সংক্রান্ত বিষয়টি আমি দেখি না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’ এডিএম (ভূমি ও ভূমি রাজস্ব) বিভু গোয়েলকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy