কল্যাণী পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ওঠা জন্ম শংসাপত্র জালিয়াতির অভিযোগ ধামাচাপা দেওয়া হবে বলে আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করছিলেন দলের ওয়ার্ড কমিটির সদস্য রাজীব চক্রবর্তী। বুধবার, সেই আশঙ্কা নিয়েই তিনি জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হন।
তিনি জানাচ্ছেন, এ ব্যাপারে প্রস্তুতি নিচ্ছেন মামলা করারও। রাজীবের স্ত্রী কাজরী ভাদরও তৃণমূলের কাউন্সিলর ছিলেন। বিবাহ বিচ্ছেদের পরে তিনি ভক্তিভূষণ রায় নামে দলের এক কাউন্সিলরকে বিয়ে করেন। তবে, সমস্যা পাকে তাঁদের মেয়ের পিতৃ পরিচয় নিয়ে।
তাঁর অভিযোগ, দিন কয়েক আগে, স্কুলের ফর্মে ভরার সময়ে মেয়ের জন্মের যে শংসাপত্র
ভক্তিভূষণ দিয়েছেন তাতে নিজেকে মেয়েটির বাবা হিসেবে পরিচয় দিয়ে বসেছেন।
বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার কল্যাণী পুরসভায় কাউন্সিলরদের বৈঠকে আলোচনাও হয়। বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আইনজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও ভক্তিভূষণের যুক্তিকে পুর কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব দিচ্ছে বলে মনে করছেন রাজীব। তাঁর প্রশ্ন, হাতে যখনই মিলুক, বিবাহ বিচ্ছেদের আগে বাবা হিসেবে ভক্তিভূষণের নামে শংসাপত্র রেজিস্ট্রেশনই বা হয় কী করে? এ দিন রাজীব বলেন, অভিযোগকারী হিসেবে পুরসভার উচিত আমার সঙ্গে কথা বলা। পঞ্জাব হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে, জন্মের শংসাপত্রে কোনওভাবে জন্মদাতা বাবার বদলে সৎ বাবার নাম ব্যবহার করা যাবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy