শেষের মুখেই থমকে গিয়েছিল কাজ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙরে, পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশনের সাবস্টেশন তৈরি জমি ও সংস্কারের সুতোয় জড়িয়ে যাওয়ায়, সেখান থেকে নিজেদের কার্যত সরিয়েই নিয়েছে ওই কেন্দ্রীয় সংস্থা।
তবে, অসন্তোষের সেই আবহ থিতিয়ে আসতেই নদিয়ার হরিণঘাটা কিংবা চাকদহ এলাকায় ৭০ একর জমি চেয়েছে কর্পোরেশন। জেলাশাসক সুমিত গুপ্তাকে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছে, ৭৬৫/৪০০ কেভির সাবস্টেশন গড়তে চাইছে পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া।
তবে, জমি আর অধিগ্রহণ করার ঝুঁকি নেবে না তারা। সরকারি জমিতে ওই সাবস্টেশন গড়ার জন্য বুক বেঁধেছে এ বার কর্পোরেশন। সে জন্য ওই এলাকায় ৭০ একর সরকারি জমি আছে কি না, তা জানতে চেয়ে নদিয়ার জেলাশাসককে চিঠি পাঠিয়েছেন কর্পোরেশনের ম্যানেজার ডি চক্রবর্তী। সে চিঠি পেয়ে জেলাশাসক তাঁদের ভূমি সংস্কার দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন।
সুমিত বলেন, “পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশনের সাব স্টেশন গড়ার জন্য অনেক জমির প্রয়োজন। অল্প জমি হলে আমরা বিষয়টি দেখতে পারতাম। এক লপ্তে অত জমি তো দিতে পারব না, তাই ভূমি সংস্কার দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছি।’’
গত ২৭ মার্চ পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশনের ওই চিঠি পেয়েছেন জেলাশাসক। রাজ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের উন্নতির জন্য নদিয়া ৭৬৫/৪০০ কেভি সাবস্টেশন গড়তে চায় তারা। জিরাট, মেদিনীপুর এবং সুভাষগ্রাম সাবস্টেশনের
সঙ্গে নদিয়ার প্রস্তাবিত সাবস্টেশনকে জুড়তে চাওয়ার লক্ষ্যে ওই উদ্যোগ। প্রয়োজন ৭০ একর জমি।
কিন্তু, মাস চারেক আগেই ভাঙরে স্মৃতি উস্কে ওঠায় অস্বস্তিতে পড়া নদিয়া জেলা প্রশাসন এ নিয়ে যে খুব এগোতে চাইছে না তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
গত জানুযারিতে, ভাঙরের আন্দোলনে রাস্তা কেটে, ব্যারিকেড গড়ে নন্দীগ্রামের ছায়া ফিরিয়ে এনেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই আন্দোলনের হাত ধরে ফের তেতে উঠেছিল রাজ্য-রাজনীতি। শাসক দলের ধমকে-চমকে সে আন্দোলন আয়ত্তে আনা যায়নি। শেষতক কাজ বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে থিতিয়ে এসেছিল আন্দোলন।
কয়েক মাস আগে রাজ্যের বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা নদিয়া জেলা জুড়ে ৩৩/১১কেভির ১১টি সাবস্টেশন গড়ার জন্য কিছু জমি চেয়ে চিঠি দিয়েছিল নদিয়ার জেলাশাসকের কাছে। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার সে আবেদনে সাড়া দিয়ে সরকারি জমির খোঁজও শুরু করেছিল প্রশাসন। সেই অনুযায়ী ৬টি জায়গায় জমি দেখাও হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাকি পাঁচটি জায়গায় সরকারি জমি খোঁজ চলেছে এখনও। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, তেহট্টের বেতাই-জিতপুর, নাকাশিপাড়ার পাটিকাবাড়ি, চাকদহের ঘুগিয়া, কৃষ্ণনগরের আসাননগর, করিমপুর ২ ব্লকের গন্ধরাজপুর, চাপড়ার মহতপুরে সাবস্টেশনের জন্য সরকারি জমির খোঁজ ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাকে।
এখন প্রশ্ন, পাওয়ার গ্রিডের জমির খোঁজে আপত্তি কোথায়?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy