কাজি গোলাম পাঞ্জাতন আহমেদ আর রামকুমার সিংহের বন্ধুত্ব ছিল গলায় গলায়।
তামাম জিতপুর তাঁদের বলত হরিহর আত্মা। কথাটা কিন্তু কথার কথা নয়। গ্রীষ্ম-বর্ষা-শীতে নিয়মিত তাঁরা গল্পগুজব করতেন। দুই পরিবারের মধ্যেও সম্পর্ক ছিল মধুর। সেই রামকুমার সিংহের বেশ ক’দিন দেখা নেই। উদ্বিগ্ন হয়ে কাজি সাহেব গেলেন সিংহ বাড়িতে। কী ব্যাপার?
সেখানে গিয়ে কাজি সাহেব জানতে পারেন, ধুমধাম করে কালীপুজো করার স্বপ্নাদেশ পেয়েছেন রামকুমার সিংহ। কিন্তু টানাটানির সংসারে ধুমধাম তো দূরের কথা, পুজো করারও ক্ষমতা নেই। আর সেই কারণেই মনখারাপ করে রামকুমার বাড়ি থেকে বেরোননি। এমন কথা শুনে মুশকিল আসান করেন কাজি সাহেব। তাঁর দেওয়া অর্থে শুরু হয় পুজো। আর সেই পুজো নিয়মিত চালাতে কালীমায়ের নামে ৬০ বিঘা জমিও দান করেন তিনি। প্রায় ৪০০ বছর আগে কাজি সাহেবের দেওয়া সেই জমিতেই মন্দির গড়ে আজও কালীপুজো হয়।
বর্তমানে ডোমকল পুরসভার উপ-পুরপ্রধান প্রদীপ চাকি এই পুজোর দায়িত্ব নিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘বাবা-ঠাকুর্দার কাছে শুনতাম, এটা নাকি কাজি সাহেবদেরই পুজো। তাঁদের দেওয়া ৬০ বিঘা জমি এখনও কালীর নামেই। কিছু জমি বেদখল হলেও এখনও প্রায় ২২ বিঘা জমি মন্দিরের দখলে রয়েছে।’’ গ্রামবাসীদের দাবি, একটা সময় এই পুজোকে ঘিরে বসত বড় মেলা। মাসখানেক ধরে চলত সেই মেলা। তার পর সিংহ পরিবার এলাকা ছাড়ার পরে ভাটা পড়ে পুজো ও মেলায়।
কাজি পরিবারে সদস্য কাজি সাইদুল ইসলামের কথায়, ‘‘বাবা-দাদুর কাছে শুনেছি, আমাদের পূবর্পুরুষ কাজি গোলাম পাঞ্জাতন আহমেদ ও সিংহবাবুর গভীর বন্ধুত্বের কথা।’’ তবে বর্তমান কাজি পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশের আক্ষেপ, কালীমায়ের নামে দেওয়া বহু জমি নয়ছয় হচ্ছে। তাঁদের দাবি, সেগুলি উদ্ধার করে পুজোর কাজে লাগানো হোক।
দুর্ঘটনায় মৃত্যু। বৃহস্পতিবার রাতে বহরমপুর শহর লাগোয়া ভাকুড়ি রেলগেটের কাছে পার হতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়েছেন এক ব্যক্তি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম যোগেশ মণ্ডল (৩৯)। বাড়ি ভাকুড়ি এলাকায়। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy