Advertisement
১১ মে ২০২৪

জানাজানি হতেই চালু স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ইনডোর

মাসখানেক আগেও দশ-বারো জন করে রোগী ভর্তি হতেন। কিন্তু ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে চাকরি ছেড়ে দিয়ে চলে যান এক চিকিৎসক। এর পর থেকেই শুধুমাত্র বহির্বিভাগ চালু রেখে রোগী ভর্তি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বকলমে: ধর্মদা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শুক্রবার। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য

বকলমে: ধর্মদা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শুক্রবার। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য

সামসুদ্দিন বিশ্বাস
নাকাশিপাড়া শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৭ ০০:৪৬
Share: Save:

মাসখানেক আগেও দশ-বারো জন করে রোগী ভর্তি হতেন। কিন্তু ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে চাকরি ছেড়ে দিয়ে চলে যান এক চিকিৎসক। এর পর থেকেই শুধুমাত্র বহির্বিভাগ চালু রেখে রোগী ভর্তি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ডাক্তার দেখাতে এসে সমস্যায় পড়েন লোকজন। নাকাশিপাড়ার ধর্মদা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ঘটনা।

কিন্তু এই নিয়ে খোঁজখবর করা হচ্ছে জানতে পেরেই নড়ে বসে জেলা স্বাস্থ্যদফতর। শুক্রবার রাতেই ধর্মদা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অন্তর্বিভাগ চালুর নির্দেশ যায় ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে। সেই মতো প্রায় এক মাস পরে শনিবার থেকে ধর্মদা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অন্তর্বিভাগ চালু হয়ে যায়।

শুক্রবারের কথা। নাকাশিপাড়ার তেঁতুলবেড়িয়ার বাসিন্দা ফিরদৌসি বেগম দুপুর নাগাদ ধর্মদা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডাক্তার দেখাতে আসেন। তিনি বলেন, “পেটে অসহ্য যন্ত্রণা হচ্ছিল। কিন্তু এসে দেখি হাসপাতালে কোনও ডাক্তার নেই। নার্স ওষুধ দিচ্ছেন। তাই ফিরে যাই।” ধর্মদার চম্পাবিবিও শুক্রবার দুপুরে হাসপাতালে এসেছিলেন। তাঁরও কথায়, “নার্সিং স্টাফ ওষুধ দিলেন। আমরা চাই হাসপাতালে সব সময় চিকিৎসক থাকুক। এ ভাবে চলে?”

নাকাশিপাড়ার বিএমওএইচ সজল বিশ্বাসের বক্তব্য, “চিকিৎসকের অভাবেই অন্তর্বিভাগ বন্ধ ছিল। তবে শুক্রবার সন্ধ্যায় মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক রোটেশনে কয়েক জন চিকিৎসককে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে
পোস্টিং দিয়েছেন। ফলে শনিবার থেকে সেখানে ওই বিভাগ চালু হয়েছে।” মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক তাপস রায় বলেন, “আমরা জানতে পারার পর ওই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অন্তর্বিভাগ এ দিন থেকে চালু করে দিয়েছি। সেখানে ব্লকের অন্য হাসপাতালের ডাক্তারকে রোটেশনে পাঠানো হচ্ছে।”

স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ধর্মদা ও আশপাশের একটা বড় এলাকার লোকজন ধর্মদা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা করাতে আসেন। আগে এখানে দু’জন চিকিৎসক ছিলেন। কিন্তু ফেব্রুয়ারি মাসের ১১ তারিখে চুক্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত চিকিৎসক দেবাশিস মণ্ডল চাকরি ছেড়ে চলে যান। ফলে এই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সব চাপ এসে পড়ে গৌরিশঙ্কর পালের ওপর। তাই চিকিৎসকের অভাবে ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে ধর্মদা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অন্তর্বিভাগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। হাসপাতাল চত্বরে লিখে দেওয়া হয়, ‘জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নেই’। শুধুমাত্র সপ্তাহে ৬ দিন ওই হাসপাতালে বহির্বিভাগ চালু রাখা হয়েছিল।

শনিবার গৌরিশঙ্কর পাল জানিয়েছেন, মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিকের নির্দেশ মতো এ দিন থেকে অন্তর্বিভাগ চালু করা হয়েছে। সোমবার থেকে আরও চিকিৎসক এখানে পাঠানো হবে বলে মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন। সেই মতো এ দিন থেকে অন্তর্বিভাগ চালু করা হল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Health Center
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE