বিকল: কল আছে, জল নেই। বৈরগাছিতে। নিজস্ব চিত্র
এলাকায় জল সঙ্কট দেখা দিয়েছে। পঞ্চায়েতের টিউবওয়েলগুলি সংস্কারের অভাবে নষ্ট। এ দিকে জলস্তর নেমে যাওয়ায় কলে জল উঠছে না।
বিশ্বজিৎ হাজরা, ঘোষপাড়া
প্রধান: পঞ্চায়েত নষ্ট কল সারানোর কাজ শুরু করেছে। বেশ কিছু সিলিন্ডার টিউবওয়েল বসানো হয়েছে। কল সংস্কার ও নতুন কল বসানোর জন্য অর্থ স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে। চেষ্টা হচ্ছে পানীয় জল সমস্যা মেটানোর।
পঞ্চায়েত কার্যালয় থেকে যে ডিজিট্যাল রেশন কার্ড বিলি হচ্ছে তাতে দেখা যাচ্ছে প্রকৃত অর্থে যারা গরিব তাঁরা দু’টাকা কিলো দরে চাল ও গম পাচ্ছেন না।
উজ্জ্বল সরকার, কৃষ্ণমাটি
প্রধান: রেশন কার্ডের বিষয়টি জেলা খাদ্য দফতরের অধীনে। ব্লক প্রশাসনের অনুরোধে পঞ্চায়েত থেকে ওই ডিজিট্যাল রেশন কার্ড বিলি করা হচ্ছে। তবে প্রকৃত অর্থে যারা গরিব, তাঁরা দু’টাকা কিলো দরে চাল ও গম পাচ্ছেন না, এটা সঠিক অভিযোগ। গোটা বিষয়টি বিডিওকে জানিয়েছি। তিনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার কথাও বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা খাতে যারা প্রকৃত গরীব তারা গৃহ নির্মাণের টাকা পাচ্ছেন না। ওই তালিকায় আর্থিক ভাবে স্বচ্ছলদেরও নাম রয়েছে। এটা কী ভাবে সম্ভব?
সৌমেন ঘোষ, কালীতলাদিয়াড়
প্রধান: বিপিএল তালিকা মেনে ওই তালিকা তৈরি হয়নি। ২০১১ সালে আর্থ-সামাজিক সমীক্ষা অনুযায়ী যে তালিকা তৈরি হয়, তাতে যাদের নাম রয়েছে ওই প্রকল্পে খাতে তাদেরই নাম এসেছে। ফলে বর্তমানে প্রকৃত গরিব সেই মানুষদের নাম বাদ গিয়েছে। প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে কাজ করেও গত দেড় বছর ধরে টাকা পাইনি। প্রশাসনের কাছে বকেয়া রয়েছে। ওই টাকা কবে পাওয়া যাবে?
চন্দন মণ্ডল, কাশীডাঙা কদমতলা
প্রধান: তিন বছর আগে যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁরাও টাকা পাননি। টাকা পাওয়া নিয়ে প্রশাসন ও মুর্শিদাবাদ জেলাপরিষদ একে অপরের দিকে ঠেলছে। মাঝে বিপাকে পড়েছি আমরা। বিক্ষোভ-আন্দোলনের মুখে পড়তে হচ্ছে।
বলরামপুর থেকে ঘোষপাড়া পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মিটার এবং পুকুরচালা থেকে বলরামপুর কলোনি দক্ষিণ প্রান্ত পর্যন্ত প্রায় ২০০ মিটার রাস্তা ভেঙেচুরে গিয়েছে। বেশ কয়েক বছর সংস্কার না হওয়ার পিচের চাদর উঠে গিয়ে খানা-খন্দে পরিণত হয়েছে।
নারায়ণচন্দ্র সাহা, বলরামপুর
প্রধান: অবিলম্বে ওই রাস্তা তৈরি করার প্রয়োজন রয়েছে। তবে রাস্তা সংস্কারের জন্য প্রকল্প তৈরি করে ব্লক প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকা থেকে ওই রাস্তা তৈরির উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।
আবেদন করা সত্ত্বেও বিধবা ভাতা মিলছে না।
প্রদীপ মণ্ডল, কলাবেড়িয়া
প্রধান: বিধবা ভাতার টাকা সরাসরি উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে। এ ব্যাপারে করণীয় কিছু নেই। তবে আমি প্রশাসনের কাছে দরবার করব যাতে তাড়াতাড়ি বিধবা ভাতা মেলে।
এলাকায় অনেকে আছেন যাঁরা বার্ধক্য ভাতা পাচ্ছেন না।
বিজয় ঘোষ, নারায়ণপুর
প্রধান: বার্ধক্য ভাতার সমস্ত আবেদনপত্র জমা জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গত দু’তিন বছর ধরে ওই তালিকা প্রকাশিত হয়নি। বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
সঞ্চালনা: শুভাশিস সৈয়দচ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy