Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

চিকিৎসক চাই, রাস্তা অবরোধ সাগরপাড়ায়

এক সময়ের গমগমে হাসপাতাল খাঁ খাঁ করছে। নোংরা জমেছে চারপাশে। দূর-দুরান্তের রোগীরা এসে ফিরে যাচ্ছেন পরিষেবা না পেয়ে।

দাবি: মঙ্গলবার সাগরপাড়ায়। ছবি: সাফিউল্লা ইসলাম

দাবি: মঙ্গলবার সাগরপাড়ায়। ছবি: সাফিউল্লা ইসলাম

নিজস্ব সংবাদদাতা
সাগরপাড়া  শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৭ ০২:২১
Share: Save:

এক সময়ের গমগমে হাসপাতাল খাঁ খাঁ করছে। নোংরা জমেছে চারপাশে। দূর-দুরান্তের রোগীরা এসে ফিরে যাচ্ছেন পরিষেবা না পেয়ে। জরুরি হলে পাড়ি দিতে হচ্ছে ২০ কিলোমিটার দূরের সাদিখাঁড়দেয়াড় গ্রামীণ হাসপাতালে।

জলঙ্গি সীমান্তের গঞ্জ সাগরপাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এই হালের প্রতিবাদে মঙ্গলবার পথে নামলেন এলাকার বাসিন্দারা। এ দিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত হাসপাতালের সামনের রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকার লোকজন। তাঁদের অভিযোগ, যে হাসপাতালে দু’জন চিকিৎসক ছিলেন, এখন সেখানে কোনও চিকিৎসকই নেই। প্রায় মাস দেড়েক ধরেই ওই হাসপাতাল চিকিৎসকশূণ্য। ফলে রোগীদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে। কেউ কেউ গাড়ি ভাড়া করে সাদিখাঁড়দেয়াড় বা ডোমকলে পাড়ি দিচ্ছেন। ডোমকলের এসিএমওএইচ শুভরঞ্জন চন্দ বলেন, ‘‘ডোমকলে এসএনসিইউ চালু করতে ওই হাসপাতাল থেকে দু’জন চিকিৎসককে তুলে নেওয়া হয়েছে। আমরা এলাকার মানুষকে কথা দিয়েছি ১৫ দিনের মধ্যে ওখানে আবারও দু’জন চিকিৎসককে পাঠানো হবে।’’

সকাল থেকে অনড় এলাকার মানুষ ঘিরে রাখে এলাকার ব্যস্ত ওই রাস্তা। ফলে জানযটও তৈরি হয়। অনেককেই পায়ে হেঁটে রওনা দিতে হয় গন্তব্যে। পুলিশ এলেও বিক্ষোভ থামায়নি লোকজন। শেষে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা হাজির হন। এলাকার মানুষ দাবি তুলতে থাকেন, সাতদিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান করতে হবে। শেষে ১৫ দিনের মধ্যে ওই সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে

স্থানীয় বাসিন্দা মিঠু শেখের কথায়, ‘‘জলঙ্গি ব্লকের বড় একটা অংশের মানুষ সাগরপাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপরে নির্ভরশীল। দিনরাত এখানে অনেকে আসেন। অথচ সেখানে কোনও চিকিৎসক নেই।’’ এলাকাবাসীর আরও অভিযোগ, হাসপাতালে ১০টি শয্যা রয়েছে। অথচ সেগুলি এখনও চালু হল না। প্রতিদিন রোগীরা এসে ফিরে যাচ্ছেন। নোংরা জমছে হাসপাতাল চত্বরে। স্বাস্থ্য দফতর এ সব দিকে কোনও নজর দিচ্ছে না।

হাসপাতালের এক কর্মীর কথায়, ‘‘আমরা পড়েছি চরম বিপাকে। অসহায় মানুষ এসে অনেক সময় আমাদের কাছে হাতে পায়ে পড়ছে। অনেক সময় তাঁদের কান্না দেখে কিছু ওষুধও দিচ্ছি। কিন্তু এ ভাবে কতদিন চলবে?’’ তবে অবরোধ উঠলেও বিক্ষো‌ভকারীরা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের সামনেই হুমকি দিয়ে বলে গিয়েছেন, ‘‘১৫ দিন পরে কিন্তু চিকিৎসক না এলে আবারও দেখা হবে!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Road blockade Doctor
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE