স্বামীকে খুনের অভিযোগে এক মহিলাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম মোসলেমা বিবি। আজ, শুক্রবার তাঁকে জঙ্গিপুর আদালতে তোলা হবে।
অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে সাগরদিঘির পোপাড়ায় দুই শিশুর সামনে লখু শেখের (২৪) মাথায় হাতুড়ি দিয়ে মেরে খুন করেন মোসলেমা। তার পর ২৪ ঘণ্টা সেই ঘরেই স্বামীর দেহ ফেলে রাখার পরে বুধবার রাতে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন তিনি।
জঙ্গিপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক প্রবীণ প্রকাশ বলেন, “জেরায় ওই মহিলা খুনের কথা কবুল করেছেন। কিন্তু কেন তিনি এমনটা করলেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। ওই মহিলার সঙ্গে আরও কথা বলা হচ্ছে।’’
বছর পাঁচেক আগে বীরভূমের লোহাপুরের মোসলেমার সঙ্গে বিয়ে হয় লখুর। তাঁদের চার ও দেড় বছরের দুই ছেলেমেয়েও রয়েছে। লখুরা তিন ভাই। ছোট দু’ভাই রাজমিস্ত্রির কাজে রয়েছেন দিল্লি ও মুম্বইয়ে। পাশেই অন্য বাড়িতে থাকেন বিধবা মা। একটি ট্রাক্টর কিনে চালাতেন লখু। স্ত্রী ও দুই শিশুকে নিয়ে থাকতেন আলাদা বাড়িতে। বাড়ি বলতে টিনের ছাউনি দেওয়া এক চিলতে ঘর।
লখুর মা সামিরুন বেওয়া জানান, পাশে থাকলেও বড় ছেলের বাড়িতে তেমন যাতায়াত ছিল না। বুধবার রাতে হঠাতই আগুন দেখে তিনি ছুটে আসেন। পড়শিরা ঘরের ভিতরে জল ঢেলে আগুন নেভাছিলেন। তখনই তিনি দেখেন, ঘরের মধ্যেই দাউদাউ করে জ্বলছে লখুর দেহ। আগুন ছড়িয়ে পড়েছে গোটা ঘরে। সবাই জল ঢেলে সেই আগুন নেভান। মোসলেমা ও তাঁর দুই ছেলেমেয়ে তখন বাইরের উঠোনে দাঁড়িয়েছিল।
কিন্তু কী করে আগুন লাগল, ঘরে কে তালা দিয়েছে, তালাবন্ধ ঘরে লখু কী করে এল—পড়শিদের এমন নানা প্রশ্নে জেরবার লখুর স্ত্রী অসংলগ্ন কথা বলছিলেন বলে দাবি স্থানীয় লোকজনের।
তখনই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পড়শিদের দাবি, মোসলেমার বছর চারেকের ছেলে সবার সামনে বলে যে, ঝগড়ার পরে তার মা লখুকে হাতুড়ি দিয়ে মেরেছে। পুলিশ সব দিক খতিয়ে দেখছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy