Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

জেলার নেতারা ক্যানসার, ইন্দ্রনীলের মন্তব্যে বিতর্ক

দলের পক্ষে ‘অস্বস্তিকর’ মন্তব্য করা থেকে থামছেন না বহরমপুরের তৃণমূল প্রার্থী ইন্দ্রনীল সেন। দিনকয়েক আগে গায়ক-প্রার্থীর অভিযোগ ছিল, মুর্শিদাবাদে তৃণমূল নেতাদের একাংশ ভোটের আগে কংগ্রেসের কাছে বিক্রি হয়ে যান। সেই বিতর্কের রেশ কাটার আগেই বুধবার কান্দির হাটপাড়ায় দলীয় সভায় তিনি বলেন, “এই জেলার নাম মুর্শিদাবাদ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কান্দি শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০১৪ ০২:২৯
Share: Save:

দলের পক্ষে ‘অস্বস্তিকর’ মন্তব্য করা থেকে থামছেন না বহরমপুরের তৃণমূল প্রার্থী ইন্দ্রনীল সেন।

দিনকয়েক আগে গায়ক-প্রার্থীর অভিযোগ ছিল, মুর্শিদাবাদে তৃণমূল নেতাদের একাংশ ভোটের আগে কংগ্রেসের কাছে বিক্রি হয়ে যান। সেই বিতর্কের রেশ কাটার আগেই বুধবার কান্দির হাটপাড়ায় দলীয় সভায় তিনি বলেন, “এই জেলার নাম মুর্শিদাবাদ। দলের এখানকার নেতারা, ক্যানসার। তাঁরা যদি নিজেদের মধ্যে সমন্বয় রেখে কাজ করেন, তা হলে জেলায় দলের জয় নিশ্চিত।”

ইন্দ্রনীলের এই মন্তব্য জানাজানি হতে অস্বস্তি লুকোননি জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি বাণী ইসরায়েল। বলেন, “ভোটের মুখে এ ধরনের মন্তব্য না করলেই ভাল হতো। এতে দলের নেতা-কর্মীদের আবেগে ধাক্কা লাগতে পারে।” জেলার মন্ত্রী তথা দলের আর এক নেতা সুব্রত সাহা অবশ্য বিতর্কে জড়াতে চাননি। তাঁর কথায়, “জঙ্গিপুরে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের সভায় ছিলাম। ইন্দ্রনীল কী বলেছেন, শুনিনি। তাই মন্তব্য করতে চাইছি না।” তবে জঙ্গিপুরের সভাতে হাজির থাকা বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের যুগ্ম আহ্বায়ক তথা জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি হুমায়ুন কবীর বলেছেন, “জেলায় শাসক দল (কংগ্রেস) আমাদের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী। রাজ্য জুড়ে আমাদের ক্ষমতা থাকলেও এই জেলায় আমাদের সংগঠন কেন শক্তিশালী হচ্ছে না, সেটা এই জেলা ও রাজ্যের নেতারাও জানেন। তবে ইন্দ্রনীল এমন কথা কেন বলেছেন, তার ব্যাখ্যা উনিই দিতে পারবেন।”

নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা অবশ্য ইন্দ্রনীল দিয়েছেন। সভায় বলেছেন, “দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) জানতে চেয়েছিলেন, এখানকার ভোটারেরা কেমন। আমি বলেছিলাম, এখানকার কর্মী ও সাধারণ মানুষ সকলেই খুব ভাল। তাঁরা ভোট দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। সমস্যা হল, দলের নেতাদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব।” তাঁর সংযোজন, “আমি নিজে অবশ্য নেতাদের সঙ্গে বেশ কয়েকবার বৈঠক করেছি। তাঁদের সঙ্গে বসে অনেককে ঠিকও করেছি।”

গত ৩ এপ্রিল কান্দির পুর-এলাকায় এক কর্মিসভায় ইন্দ্রনীলের সামনেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। মাইকে বারবার নিষেধ করেও কাজ না হওয়ায় সভা ছেড়ে বেরিয়ে যান ইন্দ্রনীল। এ দিন যাতে কোনও গোলমাল না হয় সেই কারণে সভার আগেই কর্মীদের মোবাইল ব্যবহার, ছবি তোলার মতো নানা বিষয়ে রাশ টেনেছিলেন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। সভা শেষে দলের নেতা-কর্মীদের একাংশকে বলতে শোনা যায়, “কর্মীদের উপরে রাশ টানলে যদি সভা ভাল হয়, তা হলে নেতারা প্রার্থীর মন্তব্যের উপরেও রাশ টানার কথা ভেবে দেখতে পারেন। তাতেও অনেক কিছুই ভাল হতে পারে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

indranil controversy
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE