রাষ্ট্রপতিকে দেখতে ভিড় ডোমকলে। —নিজস্ব চিত্র।
তিনি দেশের ৯৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান। রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর গত দু’বছরে ৯০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে উচ্চশিক্ষার মান বাড়ানোর কথা বলেছেন। শনিবার দুপুরে মুর্শিদাবাদের ডোমকলে মহিলা কলেজের উদ্বোধন ও বহরমপুরের কৃষ্ণনাথ কলেজের অনুষ্ঠানে এসেও শিক্ষার মান বাড়ানোর কথাই বারবার বললেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে নিজের জেলায় ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণাও ঘুরে-ফিরে এল রাষ্ট্রপতির বক্তব্যে।
রঘুনাথগঞ্জে ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনে প্রণব মুখোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
এ দিন দুপুর ১২টা নাগাদ প্রথমে ডোমকল মহিলা কলেজের নতুন ভবন ও রবীন্দ্র-নজরুল মঞ্চের দ্বারোদ্ঘাটন করেন প্রণববাবু। সেখানে তিনি উচ্চশিক্ষার প্রসার ও আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে মিনিট কুড়ি বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দোপাধ্যায় ও রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
ডোমকল থেকে রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টার আসে বহরমপুরে। সেখানে কৃষ্ণনাথ কলেজ চত্বরে রাজা কৃষ্ণনাথের একটি আবক্ষ মূর্তির আবরণ উন্মোচন ও ‘আচার্য ব্রজেন্দ্রনাথ শীল অডিটোরিয়ামে’র শিলান্যাস করেন রাষ্ট্রপতি। বিশ্বের প্রথম ২০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভারতের একটিও নেই কেন প্রশ্ন তুলে অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি বলেন, “দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত মানের না হলে সেই দেশ এগোয় না। আগে গবেষণার পরিবেশ ছিল। আগের সেই পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে।”
শনিবার মুর্শিদাবাদের ডোমকলে মহিলা কলেজের উদ্বোধন করে বহরমপুরে কৃষ্ণনাথ
কলেজের অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। সেখানে রাষ্ট্রপতির হাতে তাঁরই
প্রতিমূর্তি তুলে দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। ছবি: গৌতম প্রামাণিক
উচ্চশিক্ষার উন্নতির জন্য গত বছর দেশের ১৬টি আইআইটি-র কর্তাদের নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে মিটিং করেছেন প্রণববাবু। সে কথা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, “সুপার টেকনোলজি ছাড়া কোনও দেশ সুপার পাওয়ার হয় না। আর তার জন্য চাই গবেষণা। গবেষণার জন্য চাই পরিবেশ।” কৃষ্ণনাথ কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতির ভাষণে বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী শ্রোতাদের স্মরণ করিয়ে দেন, “এক সময় কৃষ্ণনাথ কলেজে প্রতি বছর সারা বাংলা আন্তঃকলেজ বির্তক প্রতিযোগিতা হত। ছাত্র অবস্থায় সেই বিতর্কে অংশগ্রহণ করে প্রণববাবু পরপর দু’বছর প্রথম হন।” ঐতিহাসিক এই কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করার দাবিতে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কল্যাণাক্ষ ঘোষ প্রণববাবুর হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন।
বিকেলবেলা বাবার নামাঙ্কিত ফুটবল প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করতে রঘুনাথগঞ্জে গিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন প্রণববাবু। ফাইনালের দিনও ফের মাঠে আসবেন বলে জানিয়ে দেন তিনি। সব শেষে রঘুনাথগঞ্জের দেউলি গ্রামে রাত্রি-বাস। নিজের জেলায় ফিরে দৃশ্যতই উচ্ছ্বসিত দেখায় রাষ্ট্রপতিকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy