ভোটের আগে রঘুনাথগঞ্জের সেকেন্দ্রা থেকে মাঝেমধ্যেই মিলছে তাজা বোমা। সোমবারও স্থানীয় লালখান্দিয়ার গ্রামের মণ্ডলপাড়ার একটি বাগান থেকে ৩০০টি তাজা বোমা উদ্ধার করল পুলিশ। বোমাগুলি মাটিতে পোঁতা ছিল। এ নিয়ে ওই পঞ্চায়েত এলাকায় গত পনেরো দিনে তিন দফায় প্রায় ৭০০ বোমা উদ্ধার হল।
সেকেন্দ্রা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সিপিএম ও তৃণমূল দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাস সৃষ্টির নালিশ জানাচ্ছে। সেকেন্দ্রা পঞ্চায়েত এক সময় সিপিএমের দখলে ছিল। ২০০৯ সাল থেকে সেকেন্দ্রা ও পাশের গিরিয়ার রাশ চলে আসে কংগ্রেসের হাতে। অভিযোগ, তারপর থেকেই এলাকায় সিপিএম ও তৃণমূল কর্মীরা টি কতে পারছেন না। অতীতে ওই এলাকায় একই অভিযোগ উঠত ক্ষমতাসীন সিপিএমের বিরুদ্ধে। অর্থাৎ ওই দুই পঞ্চায়েতে ক্ষমতাসীন দল বিরোধীদের মুখ খুলতে দেয় না বলে বহুদিন ধরেই অভিযোগ উঠছে। মাঝেমধ্যেই সেকেন্দ্রা থেকে বোমা মেলার ঘটনা প্রসঙ্গে সিপিএমের জেলা সম্পাদক মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্যের অভিযোগ, ‘‘ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই কংগ্রেস সেকেন্দ্রা ও গিরিয়াতে জোরকদমে সন্ত্রাস চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। কংগ্রেস আশ্রিত সমাজবিরোধীরা এলাকায় বোমা মজুত করছে। ৫ বছর ধরে ওই দুই এলাকায় কংগ্রেস ছাড়া আর কারও ভোট দেওয়ার অধিকার নেই। এ বার সিপিএম ও তৃণমূল মাথা তুলে দাঁড়াবার চেষ্টা করতেই এই ভাবে বোমা মজুত করছে কংগ্রেস। ওই এলাকায় শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহনের স্বার্থে গ্রামে গ্রামে কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারির দাবি জানিয়েছি। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না।’’
তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সদস্য শেখ ফুরকানের অভিযোগ, ‘‘কংগ্রেস এই দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশির ভাগ গ্রামেই গা-জোয়ারি করে ভোট করে। এবারে সেই গা-জোয়ারি উপেক্ষা করে অনেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এতেই আতঙ্কিত হয়ে কংগ্রেস বোমা মজুত করছে।”
স্থানীয় বিধায়ক কংগ্রেসের আখরুজ্জামান বলেন, “ওই এলাকার কিছু সমাজবিরোধী পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে দিনে তৃণমূল রাতে সিপিএম করছে। তারাই বোমা মজুত করছে।’’
রঘুনাথগঞ্জ-২ ব্লকের বিডিও বিরাজকৃষ্ণ পাল বলেন, ‘‘প্রশাসন ও পুলিশ সতর্ক আছে বলেই নির্বাচনের আগে ওই এলাকা থেকে এত বোমা উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে। ওখানে আমরা শান্তিতে ভোট করতে প্রস্তুত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy