প্রতীকী ছবি।
৫ লক্ষ টাকা তোলা দিতে রাজি না হওয়ায় কর্মীদের মারধর করে একটি বেসরকারি হাসপাতালের নির্মাণ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। বুধবার বেলা ১০টা নাগাদ শিলিগুড়ির প্রধাননগর থানার রাজেন্দ্রনগরে ওই ঘটনা ঘটে। বেসরকারি হাসপাতালের মেডিক্যাল ডিরেক্টর সুশান্ত রায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার সুনীলকুমার চৌধুরী বলেছেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েই পুলিশ পদক্ষেপ করেছে।’’ পুলিশ পাহারায় এ দিন বিকেলের দিকে কিছুটা নির্মাণ কাজ হলেও বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের আতঙ্ক কাটেনি।
এই ঘটনা শিলিগুড়ি তথা উত্তরবঙ্গের বণিক মহলে আলোড়ন ফেলেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে বিনিয়োগ টানতে দেশ-বিদেশের শিল্পোদ্যোগীদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন, সেখানে শিলিগুড়িতে এমন কেন হবে সেই প্রশ্ন তুলেছেন ব্যবসায়ীরা। হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, তাঁরা শিলিগুড়িতে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ২০০ শয্যার হাসপাতাল, রোগ নির্ণয় কেন্দ্র, নার্সিং কলেজ চালাচ্ছেন। আরও ৫০ কোটি বিনিয়োগ করে ক্যানসার রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা কেন্দ্র গড়া হচ্ছে। এমন চললে তাঁরা কাজ করতে পারবেন না। ফলে, সংস্থার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ৭০০ জন কর্মী ও পরোক্ষভাবে যুক্ত ৩০০০ জনের কাজ যাবে। সুশান্তবাবু বলেছেন, ‘‘সরকারের উপরে ভরসা আছে। আশা করি, আমরা বিনা বাধায় কাজ করতে পারব।’’
ঘটনার সূত্রপাত সকালে। বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রের খবর, রাজেন্দ্রনগরে সংস্থার একটি রোগ নির্ণয় কেন্দ্র রয়েছে। পাশের ১২ কাঠা জমি হালে কিনেছে সংস্থাটি। এ দিন সকালে সেখানে পাঁচিল দেওয়ার কাজ করতে যান শ্রমিকরা। অভিযোগ, সে সময়ে অশোক কামতি নামে একজনের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন শ্রমিকদের মারধর করে। চাহিদা মতো ৫ লক্ষ টাকা না পেলে পরিণতি খারাপ হবে বলে হুমকি দেয়। আতঙ্কিত হয়ে শ্রমিকরা পালিয়ে যান। সংস্থার অভিযোগ পেয়ে দুপুর নাগাদ পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সেই অশোক কামতি এলাকার তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। অশোকের দাবি, ‘‘তোলাবাজির বিষয় নেই। ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এলাকার বাসিন্দাদের অনেকের অভিযোগ রয়েছে। তাঁরাই দলমত নির্বিশেষে আপত্তি জানান।’’ তাঁর পাশে দাঁড়ান বিজেপির দার্জিলিং জেলার সাধারণ সম্পাদক কানাইয়া পাঠকও। পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব জানান, এলাকায় বিনিয়োগকারীদের বিন্দুমাত্র উত্যক্ত করলেই পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নেবে। তিনি বলেন, ‘‘দলের শীর্ষ স্তরে সব জানাব। কেউ বেআইনি কাজ করলে কঠোরতম পদক্ষেপ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy