Advertisement
০৮ মে ২০২৪

যত পুলিশ পঞ্চায়েতে বুথও তত

রাজ্য পুলিশের উত্তরবঙ্গের এক শীর্ষ কর্তা জানান, দার্জিলিং পাহাড় ও শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের অফিসার-কর্মীদের পঞ্চায়েত ভোটে ভোটে নিযুক্ত করা হচ্ছে। উপরন্তু, উত্তরবঙ্গে ২৫ হাজার জনের মতো সিভিক ভলান্টিয়ার্স রয়েছেন।

কিশোর সাহা
শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৮ ১৩:২৬
Share: Save:

পাহাড় ও লাগোয়া শিলিগুড়ি ছাড়া উত্তরবঙ্গের সর্বত্রই পঞ্চায়েত ভোট হচ্ছে। সব জেলা মিলে মোট বুথের যা সংখ্যা, তাতে বুথপ্রতি দু’জন করে পুলিশকর্মী কী ভাবে দেওয়া সম্ভব, তা নিয়েই আলোচনা চলছে পুলিশ-প্রশাসনের মধ্যে। বুথের সংখ্যা সাড়ে ১০ হাজার। পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনী মিলিয়ে অফিসার-কর্মীর সংখ্যাও ১০ হাজারের মতো। প্রতি বুথে তিন জন তো দূরের কথা, দু’জন করে দিতে হলেও বাইরের বাহিনী দরকার, মনে করছেন পুলিশের অনেকেই। যদিও শাসকদলের দাবি, কমিশন পর্যাপ্ত বাহিনীর ব্যবস্থা করবে।

রাজ্য পুলিশের উত্তরবঙ্গের এক শীর্ষ কর্তা জানান, দার্জিলিং পাহাড় ও শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের অফিসার-কর্মীদের পঞ্চায়েত ভোটে ভোটে নিযুক্ত করা হচ্ছে। উপরন্তু, উত্তরবঙ্গে ২৫ হাজার জনের মতো সিভিক ভলান্টিয়ার্স রয়েছেন। তাঁদের অনেককেই বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলে কয়েকজন পুলিশ সুপার জানিয়েছেন। সেই কারণে, প্রয়োজন মতো তাঁদেরও নানা বুথের সামনে পুলিশকে সহযোগিতার কাজে লাগানোর কথা ভাবছেন বলে জানান পুলিশ কর্তারা।

নির্বাচন দফতর সূত্রের খবর, ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ঘরের সামনেই অন্তত ২ জন পুলিশ রাখার কথা। ওই চত্বরে সশস্ত্র পুলিশকর্মীদেরও মোতায়েন রাখতে হয়। পর্যবেক্ষকদের সঙ্গেও পুলিশের নিরাপত্তা রক্ষী দিতে হয়। তা ছাড়া সেক্টর মোবাইল, হেভি রেডিও স্কোয়াড, পুলিশ স্টেশন রিজার্ভ, সাব ডিভিশনাল রিজার্ভ এবং ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ ফোর্স রাখতে হয়। থানায় অন্তত ৭-১০ জন অফিসার-কর্মীকে রাখতে হয়। সেই হিসেবে উত্তরবঙ্গে ভোটের দিন অন্তত ৩০ হাজার পুলিশকর্মী প্রয়োজন। নির্বাচন পরিচালনায় যুক্ত প্রশাসনের অফিসারদের একাংশ জানান, ইতিমধ্যেই সব বুথের মধ্যে যাতে অন্তত দু’জন পুলিশ ও আশেপাশে দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ার থাকে, সেই মতো একটা হিসেব তৈরি হচ্ছে। ওই অফিসারদের দাবি, ভোট নির্বিঘ্নেই হবে।

জেলার নির্বাচন অধিকারিকদের দাবিতে তাঁরা আশ্বস্ত নন বলে জানিয়েছেন বিরোধী দলের অনেকে নেতা। উত্তর দিনাজপুরের কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘মনোনয়নের সময়েও তো অনেক পুলিশ বিডিও অফিসে ছিল। কোনও সহযোগিতা বিরোধীরা পাননি। তাই দু’জন কেন, রাজ্য পুলিশের ৫-৭ জন থাকলেও নিরপেক্ষতা কতটা মিলবে, তা নিয়ে সন্দেহ আছে।’’ একই ভাবে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন মালদহের কংগ্রেস সভানেত্রী মৌসম নুরও। তাঁর কথায়, ‘‘সিভিকদের কাজে লাগানোটাও একটা চক্রান্ত।’’

বিরোধীদের এই সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুরের জেলা সভাপতি অমল আচার্য বলেন, ‘‘বুথের নিরাপত্তার বিষয়টি কমিশন নিশ্চিত করে থাকে। তাদের উপরে পূর্ণ আস্থা রয়েছে।’’ ইংরেজবাজার পুরসভার উপ-পুরপ্রধান দুলাল সরকার (বাবলা) বলেন, ‘‘ভোট করানোর মতো লোক নেই বিরোধীদের। পুলিশের সংখ্যা না দেখে বরং বুথে যাতে কর্মী থাকে, সে দিকে খেয়াল রাখুন তাঁরা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE