প্রতীকী ছবি।
শীত পড়তেই উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে বক্সায়। ৬ থেকে ৯ জানুয়ারি বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে চলবে দ্বিতীয় বর্ষের পাখি উৎসব। তারই প্রস্তুতিতে রীতিমতো ব্যস্ত কর্তৃপক্ষ। গত বছর প্রকল্পের জয়ন্তী জঙ্গল থেকে শুরু হয়েছিল এই পাখি উৎসব। এ বার পাহাড়ের গা লাগোয়া বক্সা দুয়ার এলাকায় উৎসব হবে। আমন্ত্রণপত্র ছাপিয়ে তা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পাখি প্রেমীদের পাঠাতেও শুরু করেছেন কর্তৃপক্ষ।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বারের মতো এ বারও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাখি বিশেজ্ঞরা এই উৎসবে সামিল হবেন। চার দিন ধরে পাখি দেখা, পাখি চেনা এবং কত প্রজাতির পাখি দেখা হল তার চেক লিস্ট তৈরি করা হবে। তার জন্য ৪০ জন পাখিপ্রেমী এবং বেশ কয়েক জন বিশেষজ্ঞ ছাড়াও থাকবেন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা। বনকর্তাদের কথায়, ‘‘মূলত পাখি সংরক্ষণের জন্য এর আয়োজন। ধীরে ধীরে এই উৎসবকে রাজ্যের অন্য প্রান্তে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।’’ ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা এনএস মুরলী বলেন, “পাখি বিশেষজ্ঞরা পাখি চেনাবেন এবং পাখিদের সংরক্ষণ-সহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।’’
ন্যাফের কো-অর্ডিনেটর অনিমেষ বসু বলেন, “গত বছর প্রথম সরকারি উদ্যোগে পাখি উৎসবের সূচনা হয়। আমাদের রাজ্যে বেসরকারি উদ্যোগে পাখি উৎসব হলেও সরকারি উদ্যোগে পাখি উৎসব বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলেই প্রথম শুরু হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যেই প্রতীক্ষার প্রহর গুনতে শুরু করেছি।’’ বনকর্তাদের কথায়, ‘‘বক্সাকে পাখির স্বর্গরাজ্য বলা হয়। ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে অন্তত ৩৫০ প্রজাতির পাখি রয়েছে। বেসরকারি মতে দাবি, প্রায় ৫৬১টি প্রজাতির পাখির সন্ধান মিলেছে এখানে। তবে এখন সব প্রজাতির পাখির দেখা মেলা কঠিন।’’ পাখি প্রেমীদের কথায়, এখনই সঠিক পদক্ষেপ করা না হলে বক্সার জঙ্গলে পাখিদের অস্তিত্ব নিয়ে আরও বড় প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দেবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy