হোমকাণ্ডের তদন্তে সিআইডির নজর এ বার আরও একাধিক সরকারি আধিকারিকের দিকে৷ বৃহস্পতিবারই সিআইডির একটি তদন্তকারী দল জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলেন৷ বেশ কয়েক জন আধিকারিকের ফোন নম্বরও সংগ্রহ করেন তাঁরা৷ সিআইডি সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই ওই আধিকারিকদের সঙ্গেও যোগাযোগ করবেন তাঁরা৷
হোমকাণ্ডে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি চন্দনা চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করা হয়৷ তার পর থেকে একে একে চন্দনার ভাই মানস ভৌমিক, বিজেপির মহিলা নেত্রী জুহি চৌধুরী, জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং-এর দুই ডিসিপিও সমেত ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়৷ যারা প্রত্যেকেই এই মুহূর্তে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন৷
সূত্রের খবর, এ দিন দুপুরে সিআইডির একটি দল জেলাশাসকের দফতরে গিয়ে সোজা অতিরিক্ত জেলাশাসক সুমেধা প্রধানের চেম্বারে যান৷ সেখানে বেশ খানিক্ষণ তাঁর সঙ্গে কথা বলেন গোয়েন্দারা৷ তবে অতিরিক্ত জেলাশাসকের সঙ্গে তাদের কী কথা হয়েছে সে ব্যাপারে তারা কিছু জানাননি। পরে অতিরিক্ত জেলাশাসক বলেন, ‘‘সিআইডির লোকেরা আমার কাছে এসেছিল৷ হোমের ব্যাপারে ওরা কয়েকজন আধিকারিকের ফোন নম্বর চায়৷ এর বাইরে আর কোনও কথা হয়নি৷’’
সিআইডির এক কর্তা বলেন, ‘‘শিশুরা যাতে হোমে সুরক্ষিত থাকে তা দেখার দায়িত্ব কিছু সরকারি আধিকারিকেরও থাকে৷ অথচ, তাদের নজর এড়িয়ে কী ভাবে এতগুলি শিশুকে বেআইনিভাবে দত্তক দেওয়া হল সেটাও একটা বড় প্রশ্ন৷ তাই তদন্তে সবদিকই দেখা হচ্ছে ৷’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy